পুরনির্বাচনে সাংবাদিককে মার, ভুয়া ভোটারের ছড়াছড়ি
পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরে পুরভোট। সকাল থেকে ভুয়া ভোটারদের তাণ্ডব একাধিক বুথে।
সাংবাদিককে মার
বিধাননগরে পুরভোট শুরু হতেই একের পর এক অশান্তির খবর আসতে থাকে। ভুয়া ভোটাররা ভোট দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। সহিংসতার অভিযোগ উঠতে থাকে। সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিককে ধরে মারা হয়। আনন্দবাজার অনলাইনের সাংবাদিকের নাম সারমিন বেগম ও চিত্রসাংবাদিক স্নেহাশিস প্রামাণিক। গোলমালের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়ার পরই তাদের মারধর করা হয়।
খবর নিতে গিয়ে হামলার মুখে
বিধাননগরের এএইচ ব্লকে গোলমাল হচ্ছে খবর পেয়েই সারমিন ও স্নেহাশিস সেখানে পৌঁছান। তাদের দেখেই কিছু মানুষ তেড়ে আসে। সাংবাদিক জানার পরে পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে বলা হয়, তুই এখন কেউ না। মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। চড়, থাপ্পড় মারা হয়। স্নেহাশিস তাকে বাঁচাতে গেলে তিনিও আক্রান্ত হন। সকালেই সারমিন একজন ভুয়া ভোটারকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। তখনই তাঁকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই আক্রান্ত হন তিনি।
ভোটের লাইন
সকাল থেকে কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরে বুথের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন ভোটাররা। সকালের দিকে ভোট শান্তিপূর্ণ ছিল।
ভুয়া ভোটার
বেলা যত বেড়েছে বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল থেকে একের পর এক ভুয়া ভোটারের সন্ধান মিলেছে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তারা ধরা পড়ে গেছেন। সংবাদকর্মীদের মারধরও করা হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ
সিপিএম এবং বিজেপি দুই দলেরই অভিযোগ, বহু বুথ থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। মারধরের অভিযোগও উঠেছে।
নির্বিকার শাসকদল
শাসকদল তৃণমূল অবশ্য কোনো অভিযোগই মানছে না। তাদের দাবি শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। বিরোধীরা বিক্ষিপ্ত গন্ডগোলের চেষ্টা করছে।
পঞ্চায়েতের পুনরাবৃত্তি?
২০১৬ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল। অনেকেই বলছেন, এবারের পুরভোটেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বহু জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুরসভা দখল করেছে শাসকদল।
রাস্তায় পুলিশ
গন্ডগোল মোকাবিলা করতে রাস্তায় পুলিশ আছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ বহু ঘটনা দেখেও দেখছে না।
কোভিডকালের ভোট
কোভিডকালের ভোট, তাই বুথের বাইরে স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে গ্লাভস।
লাইনে বয়স্করা
সকালে বহু বয়স্ক মানুষ ভোট দিতে এসেছিলেন। পুলিশ তাদের বুথে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।