1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণকে আকর্ষণীয় করে তুলছে এক ডাচ কোম্পানি

১৭ ডিসেম্বর ২০২০

রিসাইক্লিং শুধু আদর্শগত কারণে চাপিয়ে দিলে চলবে না, পুনর্ব্যবহৃত বস্তুগুলি টেকসই ও আকর্ষণীয়ও হতে হবে৷ বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসে নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি দৃষ্টান্ত চোখে পড়ার মতো৷

https://p.dw.com/p/3msoL
Niederlande Amsterdam: Blick auf die Stadt
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv/T. Linkel

গোটা বিশ্বে আপসাইক্লিং প্রক্রিয়ার অসংখ্য চমকপ্রদ উদাহরণ রয়েছে৷ কিন্তু নির্মাণের ক্ষেত্রে রিসাইক্লিং কেন এখনো প্রচলিত হয়ে ওঠে নি? এমন উপকরণ বাজারে এসে গেছে, দামও বেশি নয়৷ তাতেও কেন কাজ হচ্ছে না? নেস্ট কোম্পানির ইনোভেশন ম্যানেজার এনরিকো মার্কেসি এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘মূলত সিদ্ধান্তের কারণেই এমনটা ঘটছে৷ আমরা দেখতে পাচ্ছি, যে নানা রকম অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ এ বিষয়ে বিভ্রান্তিতে ভোগে৷ বিশেষ করে আইন ও পরিকল্পনার অনেক বিষয় তাদের জানা নেই৷ তাছাড়া নতুন কোনো প্রবণতা প্রায়ই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে৷ ফলে মানুষ দমে যায়৷ আমাদের কাছে সেটাই সবচেয়ে বড় বাধা৷’’

অন্যান্য দেশ এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে৷ যেমন নেদারল্যান্ডসে জঞ্জাল দিয়ে ইট তৈরি হচ্ছে৷ আমস্টারডাম শহরের দক্ষিণে এক ইট ভাটায় সেগুলি তৈরি হয়েছে৷ আদিম যুগের মতো হাতে করেই এই ইট তৈরি করা হয়েছে৷ ‘স্টোনরিসাইক্লিং’ নামের এক স্টার্টআপ কোম্পানি সেগুলিকে সম্বল করেই কাজ করছে৷ মূলত ভাঙা বাড়িঘর ও কলকারখানার বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করেই এই ইট তৈরি করা হয়৷ এই উদ্যোগের সহ প্রতিষ্ঠাতা ভার্ড মাসা বলেন, ‘‘এই ইটের মধ্যে মজার কাহিনিও লুকিয়ে রয়েছে৷ আমার হাতের বস্তুটি আগে টয়লেট সিট, বেসিন অথবা রান্নাঘরের সেরামিক টাইল ছিল৷’’

পাথরের পুনর্ব্যবহারের প্রবণতাও এক বছর ধরে বেড়ে চলেছে৷ রঙিন ইটগুলির দাম বেশি হলেও অনেক বিক্রি হচ্ছে৷ ভার্ড মাসা বলেন, ‘‘এই রংকে আমরা ‘সল্ট অ্যান্ড পেপার' বলি৷ এই রং নুগা এবং অন্যটি সালামি৷ সবসময়ে ডিজাইন ও টেকসই বিষয়ের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানো হয়৷ মানুষ সুন্দর কিছু কিনতে চায়৷ কোনো কিছু একই সঙ্গে সুন্দর ও টেকসই হলে তো কথাই নেই৷ টেকসই হলেও কেউ তো কুৎসিত দেখতে বাড়িতে থাকতে চাইবে না!''

ইউরোপের অনেক নতুন অথবা সংস্কার করা বাসভবনে এই রঙিন পাথর শোভা পাচ্ছে৷ নেদারল্যান্ডস নির্মাণের ক্ষেত্রে রিসাইক্লিং প্রবণতার অন্যতম পথিকৃত৷ ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটি সব জঞ্জাল পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ হাসিল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ ভার্ড মাসা মনে করেন, ‘‘সার্কুলার ইকোনমিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া তরান্বিত করার একটি মাত্র সমাধানসূত্র রয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে, শুধু করের ক্ষেত্রে ছাড় দিলে চলবে না৷ সেটা প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে৷ মানুষ কোনো টেকসই উপকরণ ব্যবহার না করলে জরিমানা করতে হবে৷''

নেস্ট কোম্পানির ইনোভেশন ম্যানেজার হিসেবে এনরিকো মার্কেসি মনে করেন, ‘‘এটাই সেরা সময়৷ বিষয়টি যথেষ্ট অর্থবহ, মানুষ এর মর্ম বুঝবে৷ এর জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয় না৷ তবে পরিবর্তনের জন্য সময় লাগবে৷ গত দেড়শো বছর ধরে আমাদের নির্মাণ শিল্প গড়ে উঠেছে এবং আজকের অবস্থায় পৌঁছেছে৷ বিশ্ব অর্থনীতির সবচেয়ে বড় শাখা হয়ে উঠেছে৷ অতএব রাতারাতি পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়৷

রাতারাতি না হলেও যত দ্রুত সম্ভব এই পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে৷ হাতে বেশি সময় নেই৷

মেলি জেন/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান