1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুনর্নির্বাচিত হলে পশ্চিম তীরে বসতি বাড়াবেন নেতানিয়াহু

৭ এপ্রিল ২০১৯

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন যে চতুর্থবারের মতো পুনর্নির্বাচিত হলে জর্ডান নদীর পশ্চিমাংশে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করবেন তিনি৷ তবে, তাতে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3GQVU
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Scheiner

বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার জানিয়েছেন যে পুনর্নির্বাচিত হলে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করবেন তিনি৷ আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন মন্তব্য করলেন তিনি৷

‘‘আমি একটি বসতিও সরিয়ে নেবো না৷ এবং আমি অবশ্যই নিশ্চিত করবো যে জর্ডান নদীর পশ্চিমাংশ আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি,'' ইসরায়েলি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি৷ 

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিগত মেয়াদকালগুলোতে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণে উৎসাহ যোগালেও এর আগে কখনো এভাবে প্রকাশ্যে পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের কথা বলেননি নেতানিয়াহু৷

ঝুঁকিতে দ্বিজাতি সমাধান

প্রসঙ্গত ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিম তীর দখলে রেখেছে ইসরায়েল৷ প্রায় ত্রিশ লাখ ফিলিস্তিনি সেখানে বসবাস করেন৷ তাদের সঙ্গে রয়েছেন কয়েক হাজার ইসরায়েলি ইহুদি, যারা বিগত বছরগুলোতে সেখানে বসতি গড়েছেন৷

সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সংঘাত নিরসনে নেয়া দ্বিজাতি সমাধানে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার বিষয়টি রয়েছে৷ বিশ্বের অনেক দেশ এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিচ্ছে৷ জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধে দখলকৃত অঞ্চলে বসতি স্থাপন অবৈধ৷

ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি ফেরাতে যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাতে পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিগুলো জটিলতা সৃষ্টি করছে৷ সেই আলোচনা অবশ্য ২০১৪ সাল থেকে স্থবির হয়ে আছে৷ এখন পশ্চিম তীরে যদি ইসরায়েল আরো বসতি সম্প্রসারণ করতে চায়, তাহলে দ্বিজাতি সমাধান আরো ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

নেতানিয়াহুর জয়ের সম্ভাবনা কতটা?

নির্বাচনপূর্ব জরিপগুলো বলছে প্রধানমন্ত্রী পদে মূল দুই প্রার্থীর প্রতি সমর্থন কাছাকাছি পর্যায়ে থাকবে৷ তবে, নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির পক্ষে জোট গড়ে নতুন সরকার গঠনের সম্ভবনা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গেনৎসের মধ্যপন্থি নীল এবং সাদা পার্টির চেয়ে বেশি৷ নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে গেনৎস জিতলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে, কেননা ফিলিস্তিনিদের আঞ্চলিক ছাড় দেয়া হতে পারে৷ 

এক ফিলিস্তিনির বাড়িঘর তছনছ করল ইসরায়েলিরা

এদিকে, পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ সংক্রান্ত নেতানিয়াহুর মন্তব্যের জবাবে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট৷ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরায়েলে নির্বাচনের আগে নিজেকে নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখার কথা বলেছেন৷ তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া দু'টি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর পক্ষেই গেছে৷ সিদ্ধান্ত দু'টি হচ্ছে: জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি দেয়া এবং অধিকৃত গোলান হাইটসে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করে নেয়া

মার্কিন এই নীতিগত পরিবর্তনকে নিজের সাফল্য হিসেবে শনিবার উপস্থাপন করেছেন নেতানিয়াহু৷ তিনি জানিয়েছেন যে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে চাপ দিয়ে এই সিদ্ধান্তগুলো আদায় করেছেন তিনি৷

এআই/জেডএইচ (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)