1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদত্যাগ করলেন জার্মান নৌবাহিনীর প্রধান

২৩ জানুয়ারি ২০২২

জার্মানির নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল ক্যে-আখিম শ্যোনবাখ্ পদত্যাগ করেছেন৷ ভারত সফরকালে ইউক্রেন ক্রাইমিয়া হারিয়েছে এবং পুটিন ‘সম্ভবত’ সম্মান পাওয়ার যোগ্য মন্তব্য করার পর বিতর্কের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/45yX0
ভাইস এডমিরাল ক্যে-আখিম শ্যোনবাখ্ছবি: Alexander Preker/dpa/picture alliance

জার্মানির নৌবাহিনীর প্রধান ইউক্রেন সংকট এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে নিয়ে মন্তব্য করায় শনিবার কূটনৈতিক জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে বার্লিন৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ভাইস এডমিরাল ক্যে-আখিম শ্যোনবাখ্৷

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনে লাম্বরেখ্টকে অবিলম্বে আমার দায়িত্ব থেকে আমাকে অব্যাহতি দিতে বলেছি৷ মন্ত্রী আমার অনুরোধ গ্রহণ করেছেন৷'' 

ভারত সফরকালে এক আলোচনায় ক্রাইমিয়া ও পুটিনকে নিয়ে শ্যোনবাখের মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করে৷ মনোহর পার্রীকর ইন্সটিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিস এন্ড এনালাইসিস-এ তিনি জানান যে পুটিনের ‘সম্ভবত' সম্মান প্রাপ্য৷

‘‘তিনি আসলে যা চান তাহচ্ছে সম্মান,'' ইংরেজিতে বলেন ভাইস এডমিরাল৷ ইউটিউবে তার এই বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে৷

‘‘কাউকে সম্মান দিতে অনেক কম খরচ হয়, বা খরচই হয় না৷ ... তিনি যে সম্মান চান সেটা তাকে দেয়া সহজ — এবং সম্ভবত তিনি তা পাওয়ার যোগ্যও,'' রাশিয়াকে একটি পুরনো এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে এই মন্তব্য করেন জার্মানির নৌবাহিনীর প্রধান৷

ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন শ্যোনবাখ্৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘ক্রাইমিয়া উপকূল (ইউক্রেনের হাত থেকে) চলে গেছে৷ এটি আর ফিরে আসবে না — এটিই সত্য৷''

বলাবাহুল্য, ভাইস এডমিরালের এই বক্তব্য ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক৷ ওয়াশিংটন এবং এটির মিত্রদের অবস্থান হচ্ছে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়ার ক্রাইমিয়া দখল অগ্রহণযোগ্য এবং উপদ্বীপটি ইউক্রেনকে ফিরিয়ে দিতে হবে৷ 

সেতু উদ্বোধন করলেন পুটিন

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার দেশটিতে থাকা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে শ্যোনবাখের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন৷

শ্যোনবাখ্ অবশ্য পদত্যাগের পাশাপাশি তার মন্তব্যের জন্য টুইটারে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন৷ জার্মান সরকার এই বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি৷ তবে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জার্মান টিভি চ্যানেল সেটডেএফকে বলেছেন, ‘‘(তার) বক্তব্যের বিষয়বস্তু এবং শব্দচয়ন কোনোভাবেই জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷''

এআই/জেডএ (এএফপি, রয়টার্স)