পিরামিড: প্রাচীন মিশরীয়দের রহস্যময় সমাধির সন্ধান
সম্প্রতি গিজার ‘গ্রেট চেওপস পিরামিডে’ প্রাচীন মিশরীয়দের বানানো আরও কিছু স্থাপনার রহস্য অনুধাবন করেছেন গবেষকদের একটি দল৷ ছবিঘরে থাকছে গবেষকদের নানা গবেষণার তথ্য৷
নতুন সমাধির সন্ধান নাকি কেবলই শূন্যস্থান!
২০১৫ সালে ফরাসি গবেষকরা একটি ঘূর্ণায়মান কক্ষের মধ্যে ফাঁকা জায়গা খুঁজে পান৷ কিন্তু তারপর থেকে এখন পর্যন্ত নানা গবেষণা করেও তারা বুঝতে পারছেন না এটা শূন্যস্থানটি আসলে কিসের৷ এখনও তাঁরা এর তথ্য-প্রমাণ খুঁজছেন৷ তবে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, ঐ কাঠামোর মধ্যে একটা খালি জায়গা আছে৷ কিন্তু সেটা কি কোনো ঘর?
রহস্যের সন্ধান
২০১৬ সালের মে মাসে চেওপস পিরামিডে বিজ্ঞানীরা একটি যন্ত্র বসান, যেটি মুওন কণার পরিমাণ করতে পারে৷ মুওন হলো মহাজাগতিক বিকিরণের ফলে উদ্ভূত কণা৷ এই কণার পরিমাপ করে গিজার এই বৃহত্তম পিরামিডের ভেতর প্রায় ৯৯ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ফাঁকা স্থান খুঁজে পাওয়া গেছে৷
চলাচলের পথে যন্ত্র
ফরাসি এবং জাপানি বিজ্ঞানীরা ঐ পিরামিডের ভেতরের চলাচলের পথেও এক ধরনের যন্ত্র বসিয়েছেন৷ মুওন কণাগুলোর কাজ অনেকটা রঞ্জন-রশ্মি মানবদেহে যেমন কাজ করে, ঠিক তেমন৷ রশ্মির ক্ষুদ্র একটা অংশ স্থান পরিবর্তন করে এবং কী পরিমাণ কণা পাথরে প্রবেশ করে তা পরিমাপ করে গবেষকরা দেয়ালের পুরুত্ব মাপতে সমর্থ হন৷
গিজার যত পিরামিড
নীল নদের পশ্চিম তীরে, মরুভূমির ২০ কিলোমিটার দূরে কায়রোর সিটি সেন্টার৷ বিশ্বের প্রাচীন আশ্চর্য, যেগুলো এখনো অক্ষত আছে, সেগুলোর মধ্যে এই পিরামিডগুলো অন্যতম৷ মানুষের সৃষ্ট এই বৃহৎ পিরামিডগুলো তাই বিশ্বের বিস্ময়৷ সাড়ে চার হাজার বছরের পুরোনো মানুষের সৃষ্ট এই প্রাচীন স্থাপত্যগুলো বিশ্বখ্যাত৷
অনাদিকালের বিস্ময়
চেওপস পিরামিডের সামনে এই স্ফিংক্সের ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯৬৩ সালে৷ তখনও পিরামিড ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়নি৷ ১৯৭৯ সালে এটিকে তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
মরুভূমির রহস্য
১৩৩৫ সালে জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনির এক সন্ন্যাসী ওটো ফর নিনহাওসেন গিজার পিরামিড দেখতে যান এবং চেওপস পিরামিডের ভেতরটা দেখার সুযোগ হয় তাঁর৷ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ব্রিটিশ এবং জার্মান নৃতত্ত্ববিদরা আবার পিরামিডের রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করেন৷ বর্তমানে পিরামিডগুলোর বিভিন্ন টানেল এবং সমাধি কক্ষগুলো নির্মাণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে নতুন আশার আলো দেখছেন নৃতত্ত্ববিদরা৷