1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পিটিয়েছে এবিভিপি, বলছে ভিডিও

স্যমন্তক ঘোষ নতুন দিল্লি
৮ জানুয়ারি ২০২০

বামেরা মারছে বলে এবিভিপি যে ভিডিও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা সত্য নয়। ভিডিওতে যাদের মারতে দেখা যাচ্ছে, তারা এবিভিপিরই কর্মী, দাবি বামেদের।

https://p.dw.com/p/3VsOG
ছবি: DW/S. Ghosh

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার পিছনে কারা ছিল? এটাই এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন। বামেদের দাবি, সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র শাখা এবিভিপির নেতৃত্বেই হামলা চালিয়েছে গুন্ডা বাহিনী। অন্য দিকে এবিভিপি এবং বিজেপির দাবি, ঘটনার সূত্রপাত বামেদের উস্কানিতেই। কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে তারা দাবি করছে, বামেরাই প্রথম এবিভিপির উপর হামলা চালিয়েছিল। বস্তুত, শুধু এবিভিপি এবং বিজেপি নয়, জেএনইউ কর্তৃপক্ষও সেই একই ভিডিও প্রকাশ করে বামেদের ঘটনার জন্য দায়ী করেছে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পরে যে সত্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ভিডিওতে যাদের বাম ছাত্র বলা হচ্ছে, তারাও এবিভিপি কর্মী।

রবিবারেই এক সাংবাদিক প্রথম এই ভিডিওটি টুইট করে দাবি করেন, বাম ছাত্ররাই ঘটনার জন্য দায়ী। যে ছাত্রটিকে ভিডিওতে মারতে দেখা যাচ্ছে তিনি বাম ছাত্র সংগঠন এআইএসএ-এর কর্মী। কিন্তু সত্য অন্য রকম। যে ছাত্রকে এখানে এআইএসএ-এর ছাত্র হিসেবে দাবি করা হচ্ছে তিনি আসলে এবিভিপির কর্মী বলেই দাবি জেএনইউয়ের অধিকাংশ ছাত্রের। বস্তুত, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওই ছাত্রের গলায় এবিভিপির কার্ড ঝুলতেও দেখা গিয়েছে। আর ভিডিওতে যাঁকে মারা হচ্ছে, এবিভিপি এবং বিজেপি যাঁকে এবিভিপির কর্মী বলে দাবি করেছে, তিনি নিজে একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তাঁর সঙ্গে এবিভিপির কোনও সংযোগ নেই। বরং তিনি বাম মনস্ক।

মঙ্গলবার পর্যন্ত জেএনইউয়ের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে ৩টি এফআইআর করা হয়েছে। যাতে নাম আছে আহত জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষেরও। ছাত্রদের অভিযোগ, বিজেপি এবং এবিভিপির ভাষাতেই কথা বলছে প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই যারা হামলা চালালো, তাদের আড়াল করে বাম ছাত্রদের বিরুদ্ধেই এফাইআর করা হচ্ছে। এমনকী, যে ভিডিও গুলি প্রকাশ করে বামেদের বিরুদ্ধে তোপ দাগা হচ্ছে, সেগুলিও ভুয়ো।

এবিভিপি অবশ্য এখনও দাবি করছে যে বাম ছাত্ররাই গোটা ঘটনার জন্য দায়ী। যে ছাত্রদের তারা বাম বলে দাবি করছে, তারা কি সত্যিই বাম, না কি এবিভিপিরই সদস্য? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত দিতে তারা নারাজ। বরং তাদের দাবি, যারা এ কথা বলছেন, তারা সত্যের অপলাপ করছেন।

বাম ছাত্রদের বক্তব্য এটাই দক্ষিণপন্থীদের সমস্যা। সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরেও তারা তা মেনে নেন না।

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো