আজ সকালে ৯টা থেকে ক্লাস থাকায় একটু দেরিতে মতামত জানালাম৷ মালালাকে নিয়ে ডয়চে ভেলের একটা প্রতিবেদনে শোনানো হলো নতুন এক ইতিহাস৷ ইউএনও পালন করলো ১১ নভেম্বর ‘মালালা দিবস’৷
বহু দেশ মালালাকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেবার দাবী করেছে৷ আর এ সবই হতে যাচ্ছে একেকটি ইতিহাস৷ তাই আমিও বলতে চাই, মালালা দির্ঘজীবি হন৷ এসব প্রচারের জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রফেসর সাইফুল ইসলাম থান্দার, পুরান তাহিরপুর, আলীয়াবাদ, রাজশাহী থেকে৷
মো. মাসুদুর রহমান, নতুন মূলগ্রাম, কেশবপুর, যশোর থেকে লিখেছেন, ভারতের নতুন দিল্লির সরকার সেখানে পলিথিন ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ অবশ্য আগেও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি৷ এবার কী হবে?
সরকারের হিসেবে দিল্লি ও তার আশেপাশের এলাকায় প্রতিদিন গড়ে এক কোটি প্লাস্টিকের ব্যাগ বা থলে ব্যবহৃত হয়৷ আর বেসরকারি সংস্থার হিসাবে, দিল্লিতে প্রতি বছর আড়াই লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়৷ প্লাস্টিকের এমন ব্যবহারে শহরে যেমন নোংরা পরিবেশের তৈরি হয়, তেমনি গবাদিপশু পড়ে থাকা এসব পলিথিন খেয়ে ফেলে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷ কেন না পলিথিন উৎপাদনে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ পানিতে বসবাসকারী প্রাণীর জন্যও পলিথিন খারাপ৷
এমন পরিস্থিতিতে ২০০৯ সালে একবার দিল্লিতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আইন করা হয়েছিল৷ কিন্তু তা বাস্তবায়নের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সিদ্ধান্তটা কার্যকর করা যায়নি৷ তবে এবার সরকার বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছে বলে ডিডাব্লিউ'র মাধ্যমে জানতে পারলাম৷ যে আইন মানবে না তার জন্য সর্বোচ্চ এক লক্ষ ভারতীয় টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আগামী এক বছরের মধ্যে এ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে বলে জানাতে পারলাম৷
অন্যদিকে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ আবার ফিরে আসছে বাংলাদেশে৷ ঢাকাসহ সারা দেশে এখন প্রকাশ্যে এর ব্যবহার চলছে৷ প্রচলিত আইনে লঘু শাস্তির বিধান থাকায় পলিথিন বন্ধ হচ্ছে না৷ তাই সরকারকে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে কঠোর আইন করা উচিত৷ দেশে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে করতে না পারলে ভয়াবহ রূপ নেবে৷
ডিডাব্লিউ'তে ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে যক্ষ্মা রোগ, সিঙ্গাপুরে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস, চলচ্চিত্র ও অভিনয় শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করলেন অস্কার বিজয়ী হলিউড তারকা কেটি ব্ল্যানচেট, লিগ সেরা হওয়ার পথে এগুচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ, মার্কিন মুলুকে ‘‘আর্থিক খাড়াই'' নিয়ে আতঙ্ক, প্রতিবেদন গুলো পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ৷ ধন্যবাদ ডিডাব্লিউ'কে এগুলি প্রকাশ করার জন্য৷
একটা বিষয় আমার কাছে খুব খারপ লাগল যে ডিডাব্লিউ'তে ‘ক্রিকেট' সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদন দেখলাম না৷ ‘ক্রিকেট' বিষয়ে প্রতিবেদন না থাকার কোনো কারণ দেখছি না, তবে কি রাজনৈতিক কোনো কারণ রয়েছে৷ যদি কোনো কারণ না থেকে থাকে তাহলে ‘ক্রিকেট' বিষয়ে প্রতিবেদন পাব বলে আশাকরি৷ আর যদি কোনো কারণ থেকেই থাকে তাহলে জানাবেন৷
বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দিয়ে শ্রোতাদের আকৃষ্ট করবার চেয়ে আরও মানসম্মত অনুষ্ঠান তৈরির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন দাকোপ, খুলনার বন্ধু মুকুল সরদার৷
মো. নোমান সরকার ই-মেলে জানিয়েছেন ডিডাব্লিউ'র ওয়েবসাইট দেখে আমার খুব ভালো লাগল, অনেকবার এসেছি৷ এছাড়া, টেলিভিশন চ্যানেল ডিডাব্লিউ আমার খুবই পছন্দের৷
ডিডাব্লিউ'র ওয়েবসাইট-এর সব সুন্দর, পরিচ্ছন্ন৷ খুব ভালো লেগেছে৷ আমি এখন থেকে চেষ্টা করবো এখানে এসে কিছু পড়ার৷ আর তাই, আমি এ বিষয়ে কিছু কথা বলতে যাই৷ এখানে আমরা জার্মানির মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে, তাদের শিক্ষা আর জীবনবোধ সম্পর্কে জানতে চাই৷ শিশু কিশোরকে তারা কিভাবে গড়ে তোলেন সেই কৌশলগুলো নিয়ে ব্যপক আলোচনা জানতে চাই৷ স্কুলগুলোতে শিশুদের কিভাবে পড়নো হয়, শিখানো হয় তা নিয়ে জানার ইচ্ছে রইলো৷ এতে আমরা জানতে পারব উন্নত বিশ্ব কিভাবে কম সময়ে নিজেদের তৈরি করছে৷
আমরা এমন কিছু সিনেমা বা ভিডিও বাংলায় ইউটিউব-এর মাধ্যমে পেতে চাই যেখানে খামার কিভাবে গড়ে তুলে, কৃষির ম্যানুয়েল মেশিনগুলো কিভাবে তৈরি বা কাজে আসে, সেই সব বিষয় বিস্তারিত জানতে চাই৷ এতে আমরা ডিডাব্লিউ'কে উপরে নিয়ে বা সবার কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে পারবো৷ বিশ্বের মানুষকে দরিদ্রসীমা থেকে উপরে তুলে আনতে প্রশিক্ষণের কোনো জুড়ি নেই৷ হ্যাঁ, এ কথা সত্য যে ভিডিও দেখে দেখে শেখাটা কঠিন৷ কিন্তু এইটি প্রশিক্ষণের একটি ধাপ বলে আমি মনে করি৷ আমি মনে করি মানুষকে শিখতে গেলে অন্তত ২০% বা ২৫% মানুষ পাওয়া যাবে, যারা ধরে ফেলবে, কাজটা কিভাবে করতে হবে৷ আমি অনেক দেখেছি, কথা বলে জেনেছি৷ আমি তাই বিশ্বাস করি এটা সম্ভব৷
ডিডাব্লিউ'র ওয়েবসাইট দেখে আমি অনেক আশা নিয়ে কথাগুলো জানালাম৷ আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে ইউটিউব-এর অনেক প্রশিক্ষণের বিষয় যা বাংলায় অনুবাদ করা থাকলে কম্পিউটার, মোবাইল থেকে সরাসরি কৃষক বা উৎপাদক, সাধারণ ব্যবসায়ীরা অনেক কিছু শিখে ফেলতে পারবে৷
প্রশিক্ষণ মানে কি? আমি তো মনে করি জীবনকে সহজ করার একটা পথ মাত্র৷ ডিডাব্লিউ'র ওয়েবসাইটে এই ধরনের ভিডিও সহ অনেক কিছু থাকতে পারে৷ যা সাধারণ মানুষের অনেক কাজে আসতে পারে৷ থাকতে পারে কিভাবে অ্যাপ্লিকেশন লিখতে হয়, ব্যাংক বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়৷ এই সবের একটা ডামি কপিও থাকতে পারে, যা অতি সহজে গ্রামে খুব সাধারণ মানুষগুলো দ্রুত অন্য কারো সহযোগিতা না নিয়ে ‘ফিল আপ' করতে পারে৷
আমার একটা স্কুল করার খুব শখ ছিল ১৯৯৬ সালে৷ সেটার নাম দিয়েছিলাম কৃষি স্কুল অ্যান্ড ক্লাব৷ সকালে ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত ক্লাব আর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত স্কুল৷ যেখানে কৃষক জানবে ভিডিও মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি, মাটি বীজ সমন্ধে৷ আমরা একটা স্কুলের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম বন্ধের দিনে একটা শ্রেণই কক্ষের জন্য৷ কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল ১৯৯৮ সালের বন্যায়, আমাদের মুরগী ফার্মটির মৃত্যু হওয়ার মধ্যে দিয়ে৷ অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ডয়চে ভেলেকে, আমি মো. নোমান সরকার৷
- চিঠি, ই-মেল, এসএমএস, ফেসবুক ও ভয়েসমেলে মতামত জানানোর জন্য আপনাদেরও অনেক অনেক ধন্যবাদ৷