1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মালালা দিবস’

১১ নভেম্বর ২০১২

মালালা ইউসুফজাই তালেবানের গুলিতে মারাত্মক আহত হওয়ার পর যেন নড়ে চড়ে বসেছে পাকিস্তানি এবং আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ৷ পাকিস্তানে পালিত হলো মালালা দিবস৷ এছাড়া দেশটির ৩০ লাখ ছাত্রীর জন্য বৃত্তি চালু করা হলো৷

https://p.dw.com/p/16gc4
epa03447737 A handout photo taken on 25 October and provided by the University Hospitals Birmingham NHS Foundation Trust on 26 October 2012 shows 15-year old Pakistani shooting victim Malala Yousufzai, who is recovering in Queen Elizabeth Hospital in Birmingham, Britain, with parents and brothers. Malala Yousafzai, who is being treated after being shot on her way home from school in her hometown of Mingora in the Swat region, Pakistan, on 09 October by the Taliban, could make 'pretty much a full recovery' after standing up with help for the first time, doctors said 19 October 2012. The 15-year-old was reportedly 'communicating by writing notes' and wished to thank people around the world for their support. Malala Yousafzai made headlines after being targeted by the Taliban for her campaign for the education of women and girls. She was flown to Britain on 15 October for treatment at the hospital, which specializes in the treatment of injuries suffered in conflict and associated traumata. Malala's father, Ziauddin Yousafzai (2nd R), said to journalists that 'she is recovering at an encouraging speed and we are very happy.' EPA/UNIVERSITY HOSPITALS BIRMINGHAM NHS FOUNDATION TRUST HANDOUT HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES
ছবি: picture-alliance/dpa

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলে এবং নারী শিক্ষার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করায় তালেবানের হামলার শিকার হন মালালা৷ তবে এই ঘটনা সারা বিশ্বকেই আলোড়িত করে৷ মালালা যেন বিশ্ববাসীর কাছে নারী শিক্ষার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হন৷ বর্তমানে ব্রিটিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালালা৷ তবে তালেবানের গুলিতে ১৫ বছর বয়সি ছাত্রী মালালা এবং তাঁর দুই সহপাঠী আহত হওয়ার প্রায় এক মাস পর মালালা দিবস পালনের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে শনিবার মালালা দিবস পালিত হলো৷ একইসাথে নারী শিক্ষা সম্প্রসারণে মালালার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে শান্তিতে নোবেল পদকের জন্য মনোনীত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাজার হাজার ব্রিটিশ নাগরিক৷

শুধু তাই নয়, মালালার সাহসী ভূমিকা এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে পাকিস্তানের গরিব ছাত্রীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির দাবি ওঠে বেশ জোরেশোরে৷ যেসব পরিবার তাদের মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠায়, তাদের জন্য বৃত্তির দাবিতে স্বাক্ষর করেছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ৷ এমনকি এই দাবি সম্বলিত আবেদন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির কাছে হস্তান্তরের সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন বলেন, ‘‘মালালার স্বপ্নের মধ্যে ঠিক তা-ই রয়েছে যা পাকিস্তানের জন্য সর্বোত্তম৷'' এরপরই শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জারদারি এই দাবির প্রতি নিজের সম্মতি জানিয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন৷

Pakistani students carry placards with the photographs of child activist Malala Yousafzai during a protest against the assassination attempt by the Taliban on Malala in Lahore on October 16, 2012. In an attack which outraged the world, Malala was shot on a school bus in the former Taliban stronghold of the Swat valley last Tuesday as a punishment for campaigning for the right to an education. AFP PHOTO / ARIF ALI (Photo credit should read Arif Ali/AFP/Getty Images)
ছবি: Arif Ali/AFP/Getty Images

প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, ‘‘মালালা আমাদের নারী ও শিশুদের প্রতিরোধী শক্তির বহিঃপ্রকাশ৷ যেসব সন্ত্রাসী মালালার মাথায় ও কাঁধে গুলি করেছিল, তারা শুধু পাকিস্তানের এক বীর কন্যাকে খুন করতে চায়না বরং তারা পাকিস্তানকেই ধ্বংস করতে চায়৷ তাঁর উপর আঘাত আমাদের অঞ্চলের প্রতিটি শিশুর উপর আঘাত৷ এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর হামলা৷ আমাদের শিশুরা হামলার শিকার হলে আমরা বসে থাকতে পারি না৷ তাই আমাদেরকে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে৷''

এ অবস্থায় পাকিস্তান সরকার ঘোষণা দিয়েছে, যেসব গরিব পিতা-মাতা তাদের মেয়েদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার জন্য পাঠাবে তাদেরকে ছাত্রীর মাথাপিছু মাসিক দুই ডলার করে বৃত্তি প্রদান করা হবে৷ যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বব্যাংক এই বৃত্তির জন্য অর্থ যোগান দেবে৷ আর এই অর্থ বিতরণ করা হবে পাকিস্তান সরকারের বেনজির আয় সহায়ক কর্মসূচির আওতায়৷ এই কর্মসূচির আওতায় ইতিমধ্যে গরিব পরিবারগুলো মাসিক দশ ডলার করে সহায়তা পাচ্ছে৷

ইন্টারনেট ভিত্তিক অধিকার কর্মীদের সংগঠন ‘আওয়াজ' এর দক্ষিণ এশীয় প্রচারক আলাফিয়া জোয়াইব জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হলে দুই বছরের মধ্যে সেখানকার বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রীদের নিবন্ধনের হার নয় শতাংশ বৃদ্ধি পায়৷ তাই সরকারের নতুন বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দারিদ্র্য, দুর্নীতি এবং তালেবান জঙ্গিবাদ নিয়ে বেশ হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান সরকার৷ অথচ দেশটির প্রায় ১৮ কোটি মানুষের ০.৫৭ শতাংশেরও কম নাগরিক আয়কর প্রদান করে৷ ফলে পাকিস্তান সরকারকে তাদের অনেক সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হয়৷ ২০১৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানের গরিব শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে যুক্তরাজ্যের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা রয়েছে৷

এএইচ / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য