পার্ক পরিচ্ছন্ন রাখে এক সুপারহিরো কুকুর
চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোর ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে স্যামের সুনাম৷ স্যাম যেনতেন কোনো কুকুর নয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দক্ষতায় নিয়মিত পার্ক পরিষ্কার করে সে হয়ে গেছে কার্টুন ছবির নায়ক৷ স্যাম সম্পর্কে জানুন ছবিঘরে...
যেভাবে শুরু
শুরুটা হয়েছিল খুব সাধারণভাবে৷ একদিন স্যামকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন গঞ্জালো চিয়াং৷ হাঁটতে হাঁটতে ঢুকে পড়লেন সান্তিয়াগোর মেট্রোপলিটন পার্কে৷ কিন্তু স্যামকে নিয়ে বিশাল পার্কটির যেদিকেই যান সেদিকেই শুধু ছড়ানোছিটানো আবর্জনা৷ স্যামকে ময়লা জায়গামতো ফেলতে শেখানো হয়েছিল৷ পার্কে গিয়েও তাই সব ভুলে সেই কাজই করতে লাগল স্যাম৷ আবর্জনা কুড়াতে গিয়ে এতবার থামতে হলো যে সেদিন আর হাঁটাই হলো না৷
আগে পরিচ্ছন্নতা
সেই থেকে তার মালিক গঞ্জালো চিয়াংয়ের সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন মেট্রোপলিটন পার্কে যায় স্যাম৷ সেখানে গেলেই প্রবল উৎসাহে শুরু করে প্লাস্টিকের বোতল, মাস্ক, নানা ধরনের পানীয়ের ক্যান এবং চিপসসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্যাকেট কুড়ানো৷
এক মাসের আবর্জনার এক পাহাড়
ময়লা কুড়িয়ে স্যামের মেট্রোপলিটন পার্ক পরিচ্ছন্ন রাখার লড়াই সবার নজর কেড়েছে৷ তার কাজের বহর দেখে সবাই অবাক৷ গত এপ্রিলে স্যাম আর গঞ্জালো মাস্ক কুড়িয়েছে ৬০২টি, বোতল ৫৮৫টি আর ক্যান ৩০৪টি৷ সেই এক মাসে স্যাম-গঞ্জালো জুটি কাপড়, হেলমেট আর বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্যাকেটও কুড়িয়েছে অনেক৷
স্যাম : দ্য পারকুমেট সুপারহিরো
সাড়ে পাঁচ বছরের স্যামকে নিয়ে একটা কার্টুন তৈরি করেছেন কাটালিনা আরাভেনা৷ কার্টুনটির নাম দিয়েছেন ‘স্যাম : দ্য পারকুমেট সুপারহিরো’৷ সেখানে স্যামকে দেখা যায় পার্কের বিভিন্ন স্থান থেকে আবর্জনা কুড়াতে আর দর্শনার্থীদেরও আবর্জনা নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে বা পার্কে যে ৪০টি ময়লার ঝুড়ি রাখা হয়েছে, সেগুলোতে ময়লা ফেলার কথা বলতে৷
তারকা স্যাম
পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে তৈরি করা কার্টুনটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ সেই সুবাদে স্যামের সুখ্যাতিও পৌঁছে গেছে ঘরে ঘরে৷ সান্তিয়াগোর বেশিরভাগ স্কুলে এবং সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে ‘স্যাম : দ্য পারকুমেট সুপারহিরো’৷ আজকাল স্যামকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ পত্রের অফিস বা টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতেও যেতে হয় গঞ্জালো চিয়াংকে৷