1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারভেজ মুশাররফের মৃত্যুদণ্ড

১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে প্রাণদণ্ড হল প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফের৷ তবে মুশাররফের এখন দুবাইয়ে। কীভাবে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

https://p.dw.com/p/3UwIF
ছবি: Reuters

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফকে ফাঁসির সাজা শোনালো পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনা হয়েছে৷

১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুশাররফ৷ তার আগে তিনি ছিলেন দেশের সেনা বাহিনীর প্রধান৷ সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নওয়াজ শরিফের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলেন মুশাররফ৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জেরে৷সেই মামলাতেই এ দিন তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনায় ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷যার অন্যতম পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ৷ ২০০৭ সালে মুশাররফ জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ওই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল৷ কিন্তু সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকরী হবে না৷

এর আগে বিশেষ আদালত তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, মুশাররফ তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে পারেন৷ দুবাইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে নিজের বয়ান রেকর্ডও করে পাঠিয়েছিলেন মুশাররফ৷ জানিয়েছিলেন, বিচার বিভাগীয় দল গিয়ে তাঁর বয়ান লিখে নিয়ে যেতে পারে৷

২০১৬ সালেই দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে চলে গিয়েছিলেন মুশাররফ৷ জানিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্যই সেখানে যাচ্ছেন তিনি৷ কিন্তু এর পর আর কখনও পাকিস্তানে ফেরেননি মুশাররফ৷ একাধিকবার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার জন্যই দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি৷ গত ৪ ডিসেম্বর দুবাইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে এক টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি শেষবার বলেছিলেন, 'আমি পাকিস্তানের জন্য লড়াই করেছি৷ আশা করি সুবিচার পাবো৷'

সাজা ঘোষণার পর মুশাররফ আর পাকিস্তানে ফিরবেন না বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা৷ তবে দুবাই থেকে মুশাররফকে দেশে ফেরানোর জন্য পাকিস্তান বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না, সেটাও দেখার বিষয়৷

এসজি/জিএইচ (ডন, ইন্ডিয়া টুডে, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)