1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে বিদেশি ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে জাতিসংঘের পর্যালোচনা

২৬ আগস্ট ২০১০

তাহরিক-ই-তালেবান৷ তালেবান গোষ্ঠীর পাকিস্তান শাখা৷ এরাই মানবিক ত্রাণকাজে পাকিস্তানে কর্মরত বিদেশিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে৷ ফলে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে সাহায্য কর্মীদের মধ্যে৷ এখন কি করবেন সেখানে কর্মরত বিদেশিরা?

https://p.dw.com/p/OwvS
পাকিস্তানে সাহায্যকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শন্কাছবি: AP

এ প্রশ্নের উত্তরটি কিন্তু ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা৷ বলেছেন, বন্যাপীড়িত এলাকায় কর্মরত সকল ত্রাণকর্মীর নিরাপত্তার বিষয়টি তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা শুরু করেছেন৷ এক মার্কিন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবারই তালেবান হামলা পরিকল্পনার এই খবর প্রকাশ করেছেন৷

এদিকে জঙ্গিদলগুলোর কাছ থেকে সরকারের প্রতি আগেই আহ্বান আসে, যেন বিদেশিদের কাছ থেকে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে, কোন সাহায্য না নেয়া হয়৷ শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে তারা নিজেরাই অর্থ সহায়তা দেবে - এমন কথাও বলে তারা৷ এরপর বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ব্যানারে বন্যাপীড়িতদের মধ্যে ত্রাণ বিরতরণ শুরু করে এই জঙ্গিগ্রুপগুলো৷ কিন্তু যে দলগুলোর বিপক্ষে পাকিস্তান সরকারের মরণকামড়, সেই গ্রুপের কাছ থেকে সহায়তা! তা তো আর হতে পারে না৷ তাই পরবর্তীতে সন্ত্রাসের তালিকাভুক্ত ঐ সকল প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার৷ অবশ্য এ জন্য পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ চাপ ছিল বলেও জানাচ্ছে কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম৷ আর তার পরপরই নাকি ক্ষেপে যায় তালেবান গোষ্ঠী৷

Pakistan Überschwemmung Flutkatastrophe Hilfe für Flüchtlinge
বন্যাপীড়িত এলাকায় কর্মরত সকল ত্রাণকর্মীর নিরাপত্তার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা শুরু করেছে জাতিসংঘছবি: AP

বিদেশি ত্রাণকর্মী এবং সরকারের মন্ত্রীরাও রয়েছেন তাদের হিট-লিস্টে৷ এক পাকিস্তানি জেনারেলের কথায়, ‘‘তালেবান গোষ্ঠী আসলে ভীত হয়ে পড়েছে৷ তারা মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আসা ত্রাণকর্মীরা যেভাবে সাহায্য করছে, তাতে মানুষের মধ্যে তালেবানের জনপ্রিয়তা কমে যাবে৷ লোকে বুঝতে পারবে তাদের কাজকর্ম৷ আর মুখ ঘুরিয়ে ফেলবে জনগণ৷ আসলে এটাই মেনে নিতে পারছে না জঙ্গিরা৷ তাই ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার মতো ঘৃণ্য পরিকল্পনায় নেমেছে তারা৷

যতোটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে বড় কোনো হামলা এখনো ঘটনায়নি তালেবান৷ তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার যে সব কর্মী খাইবার, পাখতুনখাওয়া এবং বেলুচিস্তানে কাজ করছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ঠিকঠাক ভাবে ত্রাণকাজ পরিচালনা করতে পারছেন না৷ একথাই জানাচ্ছেন সংগঠনের মুখপাত্র আহমেদ ফারাহ শাহদোল৷ তিনি জানান, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে - এই সংবাদের পর, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অপারেশনের ব্যাপ্তি কমিয়ে আনতে হচ্ছে৷''

তালেবান হামলার এই পরিকল্পনার কারণে বোঝাই যাচ্ছে যে, ৮০ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম এই বন্যায় প্রচন্ড দুর্ভোগে থাকা মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে৷ সৃষ্টি হবে এক মর্মান্তিক অবস্থা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ