1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ১৬

১২ এপ্রিল ২০১৯

শুক্রবার পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের এক বাজারে বোমা হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন৷

https://p.dw.com/p/3GeRR
ছবি: Reuters/N. Ahmed

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, কোয়েটার একটি ফলের বাজারে হামলাটি চালানো হয়৷ হামলার লক্ষ্য ছিল, পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা গোষ্ঠী৷

এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি৷ কিন্তু যেখানে হামলা হয়েছে সেই বালুচিস্তান রাজ্য হচ্ছে পাকিস্তানের অন্যতম দরিদ্র ও সংঘর্ষপ্রবণ এলাকা৷ বহুদিন ধরেই এই অঞ্চলে রয়েছে বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা৷

পুলিশের আঞ্চলিক প্রধান মোহসিন বাট জানিয়েছেন, নিহত ১৬ জনের অর্ধেকই সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা গোষ্ঠীর সদস্য৷

কোয়েটার হাজারগঞ্জি অঞ্চলের বাজারে লরি থেকে মাল নামানোর সময় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর চারদিক ঘন কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়৷

কেন লক্ষ্য ‘শিয়া হাজারা'?

পাকিস্তানের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির অন্যতম এই শিয়া হাজারা, যাদের চেহারায় মধ্য এশীয় ছাপ থাকার ফলে সহজেই ভিড়ের মধ্যে শনাক্ত করা যায়৷ ফলে প্রায়ই হামলার শিকার হন তাঁরা৷

কোয়েটা শহরের মোট ২৩ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ মানুষ এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত৷ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শিয়া হাজারা গোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা আগে বললেও, কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়া হয়নি৷

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি ডিরেক্টার ওমার ওয়ারাইচ এবিষয়ে বলেন, ‘‘প্রতিবারই এই গোষ্ঠীর রক্ষার্থে নানা রকমের আশ্বাস দেওয়া হয়৷ কিন্তু কখনই সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয় না৷''

২০১৪ সালে পেশওয়ারের একটি স্কুলে সশস্ত্র হামলার ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানে উল্লেখজনকভাবে সহিংসতা কমেছে৷

কিন্তু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চলেছে অনবরত৷

এদের মধ্যে শিয়া হাজারা গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রায়ই সহিংসতার শিকার হন৷ তাই বর্তমানে দু'টি পরিবেষ্টিত এলাকার মধ্যেই বসবাস করেন তাঁরা৷ এছাড়া, নিরাপত্তার খাতিরে রয়েছে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারাও৷

এসএস/জেডএইচ (এএফপি)