1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে প্রাথমিক সাহায্য নিশ্চিত করা না গেলে আরো মৃত্যুর আশংঙ্কা

১৯ আগস্ট ২০১০

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় মানুষের দুর্দশা এখন চরমে৷ অনাহার, বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব এবং আশ্রয়ের অভাবে বন্যা কবলিত পাকিস্তানের কোটি কোটি মানুষ এক অমানবিক জীবন যাপন করছে৷ এদিকে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবিকতা দিবস৷

https://p.dw.com/p/OrZu
বন্যা দুর্গত পাকিস্তানছবি: AP

এবারের বিশ্ব মানবিকতা দিবসে বিশ্ববাসীর সামনে বন্যা কবলিত পাকিস্তানের কোটি কোটি মানুষের দুর্দশার ছবিই উঠে এসেছে৷ জাতিসংঘ জানিয়েছে, বন্যায় পাকিস্তানের ৪৬ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন৷ বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো অনাহার, অর্ধাহার আর বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত৷ জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বন্যার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যদি প্রাথমিকভাবে ৪৫৯ মিলিয়নের সাহায্যটি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে আরো মৃত্যু এবং দুর্দশা অপেক্ষা করছে৷

এদিকে, বন্যা উপদ্রুতদের জন্যে জাতিসংঘের আহ্বানে সারা দিয়ে পাকিস্তানের বন্যা উপদ্রুতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন৷ দুই-একদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হবে না, তবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের এইরকম পূর্বাভাসে আরো ভেঙ্গে পরেছেন আশ্রয়হীন মানুষগুলো৷

ওদিকে, জাতিসংঘ শিশু তহবিল পাকিস্তানের বন্যা উপদ্রুতদের জন্যে সাহায্যের পরিমান তিনগুন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে৷ সৌদি আরব তার সাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ১০৭ মিলিয়ন ডলার করেছে৷ দুর্দশাগ্রস্থ দুই কোটি মানুষের জন্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্য ইতোমধ্যেই রওনা হয়ে গেছে৷

জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার বলেছে, জরুরি মানবিক সাহায্য প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৬০ লাখ থেকে ৮০ লাখে পৌঁছেছে৷ বলা হয়েছে, এদের প্রত্যেকেরই জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন৷ এদিকে মার্কিন সেনেটর জন কেরি পাকিস্তান সফরে রয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার তিনি পাকিস্তানের সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ বন্যা দুর্গত কিছু এলাকা সফরের কথা রয়েছে তাঁর৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ