1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে দেহরক্ষীর গুলিতে গভর্নর খুন

৪ জানুয়ারি ২০১১

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসির নিজ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়েছেন৷ মঙ্গলবার ইসলামাবাদে দিনেদুপুরে সবার সামনে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ এদিকে এই ঘটনার পর সারা দেশে তিনদিনের শোক পালন করা হবে৷

https://p.dw.com/p/ztUH
Governor, Pakistan, Punjab, Province, Salman, Taseer, wife, Parliament, building, President, Asif, Zardari, Islamabad, পাকিস্তান, দেহরক্ষী, গুলি, গভর্নর, খুন, সালমান, তাসির
সস্ত্রীক সালমান তাসির (ফাইল ছবি)ছবি: Picture-Alliance/dpa

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা

ঘটনাটি ঘটেছে প্রকাশ্যে দিনেদুপুরে৷ ইসলামাবাদের এফ সিক্স সেক্টর এলাকায় অবস্থিত কোসার মার্কেট এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গভর্নর সালমান তাসির নিজ গাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই তার দেহরক্ষী একেবারে কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে৷ মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন পাঞ্জাবের গভর্নর৷ তবে গুলি করেও ঘাতক পালিয়ে যায়নি৷ বরং পিস্তল ফেলে দিয়ে সে দুই হাত তুলে আত্মসমর্পণ করে৷ অর্থাৎ সালমান তাসিরকে হত্যা করাই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য৷ গুরুতর আহতাবস্থায় তাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক৷

হত্যাকাণ্ডের কারণ

দেহরক্ষীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে সে মুখ খুলেছে, এমনটাই দাবি করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক৷ তিনি বলেছেন, ব্লাসফেমি আইনের বিরোধিতা করার জন্যই গভর্নরকে হত্যা করেছে দেহরক্ষী৷ কারণ অনেক আগে থেকেই সালমান তাসির এই আইনকে কালো আইন বলে অভিহিত করে আসছিলেন৷ উল্লেখ্য, ব্লাসফেমি আইনের পরিবর্তন না করার জন্য উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ দিয়ে আসছিলো৷ অন্যদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বেশি৷ আর পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দলের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা সালমান তাসিরও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন৷ উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন তাসির৷

তিনদিনের শোক

মাত্র দুইদিন আগেই ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে যাওয়ার কারণে পাকিস্তানে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট দেখা গেছে৷ এই অবস্থায় এই হত্যাকাণ্ডের পর স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি পিপিপি ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত৷ তারা দুই সপ্তাহের শোক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে৷ তবে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সকলকে শান্ত থাকতে বলেছেন৷ তাঁর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে ঘটনার তদন্ত যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ অন্যদিকে সরকারিভাবে তিনদিনের জাতীয় শোকও ঘোষণা করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক