1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাক-জেলে বন্দি সরবজিতের মুক্তিকে ঘিরে নির্মম তামাশা

২৭ জুন ২০১২

পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয় নাগরিক সরবজিত সিং’এর মুক্তি ঘোষণা করার পর রাতারাতি অবস্থান বদল করে পাকিস্তান জানালো, সরবজিত নয় মুক্তি দেয়া হবে জেলবন্দি অপর ভারতীয় সুরজিত সিং’কে৷

https://p.dw.com/p/15MFe
ছবি: AP

পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মঙ্গলবার পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয় সরবজিত সিং-এর মুক্তির কথা ঘোষণা করেন৷ নাশকতা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৯০ সালে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়৷ পরে তাঁর যাবজ্জীবন হয় প্রেসিডেন্টের আদেশে৷ সরবজিতের মুক্তির কথা প্রচারিত হয় পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে৷ সেই খবর শুনে পাঞ্জাবের জলন্ধরে সরবজিতের পরিবারে আনন্দের বান ডাকে৷ তারপর গতকাল মধ্যরাতে দৃশ্য পালটে যায়৷ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ভারতের পিটিআই বার্তা সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানান, মুক্তি দেয়া হচ্ছে সরবজিত সিং নয়, সুরজিত সিং'কে৷

দিল্লির কূটনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এটা প্রকৃত ভুল নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে? এক, সরবজিতের মুক্তি ঘোষণার ভুল সংশোধনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগলো কেন? দুই, নাশকতার অভিযোগে সুরজিত সিং-এর ফাঁসির আদেশ হয়৷ কিন্তু তা রদ করে তাঁকে যাবজ্জীবন দেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গুলাম ইসক খান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনাজির ভুট্টোর পরামর্শে৷ যাবজ্জীবনে মেয়াদ ১৪ বছর শেষ হয় ২০০৪ সালে৷ কাজেই এরপর তাঁকে এমনিতেই জেলে রাখা যায়না৷ তাই তাঁর মুক্তির আদেশে প্রেসিডেন্টের সই দরকার হয়না৷

কেউ কেউ আবার মনে করেন, এই ভোল পাল্টানোর পেছনে পাকিস্তানের মৌলবাদী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামী এবং জামাত-উদ-দাওয়ার চাপ থাকতে পারে৷ মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা অন্যতম চাঁই আবু হামজার গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর একটা যোগসূত্র থাকার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায়না এমনটাই ধারণা ভারতের পর্যবেক্ষক মহল৷

মুক্তি নাটক ঘিরে চরম বিভ্রান্তি কী ভুলবশত, নাকি রাতারাতি পাকিস্তানের ভোল বদল? - সেই বিতর্কে না গিয়ে ভারত সরবজিতের মুক্তির জন্য ফের পাকিস্তানের কাছে আবেদন জানিয়েছে৷ সুরজিতের মুক্তিদানকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা বলেন, মানবতার খাতিরে সরবজিতকে যেন মুক্তি দেয়া হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য