1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে এফআইআর

২৬ আগস্ট ২০২১

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে নয়টি এফআইআর দায়ের করেছে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগোশন-সিবিআই৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই তদন্ত করছে৷

https://p.dw.com/p/3zVLt
পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সিবিআই এফআইআর করলো।ছবি: Central Bureau of Investigation

সিবিআইয়ের চারটি বিশেষ ইউনিটের ২৫ জন অফিসার ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলগুলিতে পৌঁছে গেছেন। তারা সেখানে সরেজমিনে তদন্ত করবেন। সিবিআই সূত্র জানাচ্ছে, আরো বেশ কয়েকটি এফআইআর শীঘ্রই দাখিল করা হতে পারে। তারা ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেয়েছেন। সেগুলি খতিয়ে দেখে ও প্রাথমিক তদন্তের পরই আরো এফআইআর দাখিল করা হতে পারে।

রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছিল, পুলিশের কাছে ২৯টি হত্যার অভিযোগ এসেছে। আদালতের নির্দেশে সেই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সিবিআই-কে দিয়েছে পুলিশ। তবে এর মধ্যে ধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই। বিজেপি অবশ্য দাবি করেছিল, ১১টি ধর্ষণ হয়েছে, অধিকাংশই বীরভূমে। আর মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ৫১টি হত্যার কথা বলা হয়েছিল। হাইকোর্টে বিজেপি-র তরফে আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল, তারা ভয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাননি।

সিবিআই দল

সিবিআই এই তদন্তের ভার দিয়েছে ডিআইজি অখিলেশ কুমার সিং-কে। তিনি নারদ ও কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের দায়িত্বেও আছেন। তবে সিবিআই মোট ৮৬ জন অফিসার ও কর্মীকে এই ভোট পরবর্তী সহিংসতার তদন্তের কাজে লাগিয়েছে। তার মধ্যে প্রচুর এএসপি ও ডিএসপি পর্যায়ের অফিসার আছেন। এর থেকেই স্পষ্ট, তারা এই তদন্তকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, ভোটের আগে প্রশাসন যখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল, তখন সহিংসতা হয়েছিল। ভোট শেষ হওয়ার পর কোনো সহিংসতা হয়নি। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে মাত্র। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে সদস্য পশ্চিমবঙ্গে এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ভোট পরবর্তী সহিংসতার খোঁজ করেছেন, তিনি বিজেপি-র সঙ্গে জড়িত। তিনি আগে বিজেপি-র যুব নেতা ছিলেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ ছিল, বিজেপি-র হাতে তৃণমূল কর্মীরা মারা যাচ্ছেন।

রাজ্যপালের দাবি

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে রীতিমতো সোচ্চার ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি এ নিয়ে প্রচুর টুইট করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেয়ার পরেও তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে সহিংসতা থামানো। পরে তিনি ভোট পরবর্তী সহিংসতার শিকার পরিবারগুলির সঙ্গেও দেখা করেন।

বিজেপি-র অভিযোগ

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের ফলাফল বেরনোর পর থেকেই তৃণমূল কর্মীরা রাজ্যজুড়ে সহিংসতা করেছে বলে বিজেপি-র অভিযোগ। তারা এই নিয়ে প্রথম থেকে সোচ্চার ছিল। বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও নালিশ জানিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছিল।

পরে বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্ট সিবিআইকে এর তদন্ত করতে বলে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই)