1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু, দোষ বাংলাদেশি মশার?

৫ আগস্ট ২০১৯

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য দায়ী বাংলাদেশের মশা৷ এমন মন্তব্য তিনি করলেন কিভাবে, কিসের ভিত্তিতে?

https://p.dw.com/p/3NN08
Bangladesch Dengue-Patienten im Krankenhaus von Dhaka
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman

গত বৃহস্পতিবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের মতো বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গেও দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু৷ কিন্তু বাড়ন্ত রোগের প্রকোপের দায় তিনি চাপিয়ে দিলেন বাংলাদেশের মশার ওপর৷

তিনি বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় মশা ওপার থেকে এপারে আসে, আবার এপার থেকে ওপারে যায়৷ দুই পারেই বহু মানুষ যাতায়াত করে৷ এ রাজ্যে ডেঙ্গু ছড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের মশার ভূমিকা থাকতে পারে৷''

সহযোগিতার পথে ফাটল?

ডেঙ্গুর জীবাণু বয়ে আনে এডিস মশা, যা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় জমা জলপ্রবণ এলাকাগুলিতে৷ দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বর্ষাকালে, এই রোগের প্রবণতা বাড়ে মূলত স্থানীয় জল নিষ্কাশনের ব্যর্থতার কারণেই৷ শুধু তাই নয়, দুই বাংলার আবহাওয়ার ধরন ও ভৌগোলিক গঠন নদী ও জলাভূমিকেন্দ্রিক হওয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকে বেশি৷ অন্যদিকে, এডিস মশার স্থানান্তরের কোনো উপাত্ত এখনও খুঁজে পাননি গবেষকরা৷

ফলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার দায় বর্তায় নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য ও পৌর দপ্তরগুলির ওপরেই৷

Shabnam Surita Dana
শবনম সুরিতা, ডয়চে ভেলেছবি: Melissa Bach Yildirim/AU Foto

উল্লেখ্য, প্রায় প্রতি বছরই পশ্চিমবঙ্গে কমবেশি দেখা দেয় ডেঙ্গু জ্বর৷ চলতি বছরে বাংলাদেশে এই রোগের বিস্তার তুলনামূলকভাবে বেশি৷ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন সীমান্ত-সংলগ্ন হাবড়া জেলার বাসিন্দারা৷ সেখানে স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তারদের গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে, যার ফলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে রোগী-চিকিংসাকর্মী সংঘর্ষের খবরও৷

কিন্তু এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বরং কোনো রকমের তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই মশার সীমান্ত পেরোনোর সম্ভাবনার কথা বলেছেন৷

তাঁর এমন বক্তব্যকে দায় এড়ানোর কৌশল হিসাবে দেখা যেতেই পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য