পশ্চিমবঙ্গে ডিএ-র দাবিতে অবস্থান সরকারি কর্মীদের
সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য ডিএ পাচ্ছেন না। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও রাজ্য সরকার দিচ্ছে না।
ডিএ-র দাবিতে
ডিএ মানে ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বা মহার্ঘভাতা। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমানুপাতিক হারে ডিএ পাওয়ার কথা সরকারি কর্মীদের। কিন্তু সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাদের প্রাপ্য ডিএ দিচ্ছে না।
কেন্দ্র দিচ্ছে
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ দিয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ফেডারেশনের দাবি, তাদের ৩১ শতাংশ ডিএ বকেয়া আছে। কিন্তু সেই ডিএ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার দিচ্ছে না। সেজন্য তারা আন্দোলনে নেমেছেন। একদিনের অনশন সেই আন্দোলনের অঙ্গ।
৩৩টি সংগঠন মিলে
এই আন্দোলনে সামিল হয়েছে সরকারি কর্মীদের ৩৩টি সংগঠন। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ নাম দিয়ে তারা এই আন্দোলন করছে। শিক্ষকদের সংগঠনও এই বিক্ষোভে সামিল।
শিক্ষক, ডাক্তার, নার্সরাও
সরকারি শিক্ষক, চিকিৎসক ও নার্সরা যোগ দিয়েছেন এই আন্দোলনে। এর আগে তারা আলাদাভাবে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু এবার তারা সকলেই একমঞ্চে। অনেকদিন ধরে তারা আন্দোলন করছেন। কিন্তু এখনও তাতে লাভ হয়নি।
অবস্থান চলছে
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে কলকাতার শহিদ মিনারের কাছে অবস্থান করছেন সরকারি কর্মীরা। এর মধ্যে একদিন দুই ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি করেছেন। একদিন অনশনও করেছেন।
কর্মীদের বক্তব্য
সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তখন এই ব্যবস্থা নিতে হয়। অনশনের পরেও সরকারের হুঁশ না হলে তখন বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে হবে।
সরকারি দাবি খারিজ
নার্সদের সংগঠনের কর্মকর্তা ভাস্বতী মুখোপাধ্য়ায় দাবি করেছেন, সরকার বলছে তাদের কাছে টাকা নেই। কিন্তু ২০২০ সালে তারা বিধায়কদের বেতন দ্বিগুণ করেছে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীও
অনশনে বসেছেন চেতলার অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্যের মতো অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। ২০১৬ সালে তারা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যালে মামলা করে। সরকার ছয়বার হেরে যায়। তারপর তারা উচ্চআদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলছে।
অনশনভঙ্গ
ফলের রস খেয়ে অনশনভঙ্গ করলেন সরকারি কর্মীরা। তবে তাদের আন্দোলন চলবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি তারা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
সরকারি কর্মীদের এই অনশনের পর রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকার কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দেবে। তার দাবি, আসলে কেন্দ্র রাজ্যের প্রচুর টাকা আটকে রেখেছে। সেসব পেয়ে গেলেই রাজ্য সরকার ডিএ মিটিয়ে দেবে।
কর্মীরা হাতে পেতে চান
আন্দোলনরত কর্মীরা বলেছেন, রাজ্য সরকার অনেকবার তাদের ডিএ দেবে বলে জানিয়েও কিছু দেয়নি। তাই তারা আগে বর্ধিত ডিএ হাতে পাবেন, তারপর বিশ্বাস করবেন।