1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে ছুটবে বিজেপি-র পাঁচটি ভোট-রথ

২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ফেব্রুয়ারিতেই পশ্চিমবঙ্গে পাঁচখানা রথ নামাচ্ছে বিজেপি। এমনকী রথের সওয়ার হয়ে প্রচার করতে পারেন অমিত শাহ, নাড্ডাও।

https://p.dw.com/p/3ohcA
বিজেপি-র রথযাত্রায় থাকতে পারেন অমিত শাহ।ছবি: DW/P. Mani

বিধানসভা নির্বাচন যত কাছে আসছে, ততই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলের প্রচার তুঙ্গে উঠছে। ফেব্রুয়ারিতেই রাস্তায় নেমে পড়ছে বিজেপি-র পাঁচটি প্রচার-রথ। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা প্রথম রথযাত্রার সূচনা করবেন নবদ্বীপ থেকে। তার তিন দিন পর ৯ ফেব্রুয়ারি নাড্ডা আরো দুইটি রথযাত্রার সূচনা করবেন ঝাড়গ্রাম ও তারাপীঠ থেকে।

অমিত শাহও দুইটি রথযাত্রার সূচনা করবেন। একটি ৮ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার থেকে, অন্যটি কাকদ্বীপ থেকে। শুধু সূচনা করাই নয়, অমিত শাহ ও নাড্ডা একদিন রথযাত্রায় অংশও নিতে পারেন। তাছাড়া রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারাও রথে সওয়ার হবেন।

সেই রামমন্দির আন্দোলনের সময় রামরথে সওয়ার হয়েছিলেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। তার আগে মুরলী মনোহর জোশীও কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর রথযাত্রা করেছিলেন। বিজেপি-রাজনীতির নিরিখে সেই রথযাত্রা খুবই সফল হয়েছিল। আডবাণী হয়ে উঠেছিলেন জনগণের নেতা। জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন জোশীও।  সেই শুরু। তারপর বিজেপি নেতারা প্রতিটি লোকসভা ও বিধানসভা  নির্বাচনে রথযাত্রা বের করেন। পশ্চিমবঙ্গেও তার অন্যথা হচ্ছে না। বিজেপি নেতাদের দাবি, জনসংযোগের ক্ষেত্রে রথযাত্রার মতো কার্যকর ব্যবস্থা আর নেই। খুব সহজে লাখ লাখ মানুষের  কাছে পৌঁছনো যায়। তাই এখন শুধু বিজেপি নয়, অন্য দলও রথযাত্রা করে।

রথ মানে একটা বড় বাহনকে রথের রূপ দেয়া। তার মধ্যে থাকে বিশেষ প্ল্যাটফর্ম, যা ওপরে উঠে যায় এবং সেখানে দাঁড়িয়ে নেতা বা নেতারা ভাষণ দিতে পারেন, মানুষকে দেখে হাত নাড়তে পারেন। রথের ভিতরে নেতার বসার ও শোয়ার ব্যবস্থাও থাকে। পুরো বাহন বাতানুকূল হয়। আর বাইরে থাকে নির্বাচনের উপযোগী ছবি ও স্লোগান। এই রথ নির্ধারিত রাস্তা দিয়ে চলে। কখনো সেটা বড় রাস্তা, আবার কখনো দরকার হলে ছোট সড়ক দিয়েও চলে রথ। সামনে ও পিছনে থাকে অনুগামীদের গাড়ি, মোটরসাইকেল। সবমিলিয়ে জমজমাট ব্যাপার। কোনো জনপ্রিয় নেতা রথের সওয়ার হলে তাঁকে দেখতে রাস্তার দুই ধারে যথেষ্ট ভিড় হয়।

Indien Kolkata Gewaltsame Proteste bei BJP-Umzug
কলকাতায় একাদিক বিক্ষোভ কর্মসূচির পর বিজেপি এখন রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী রথযাত্রা করবে। ছবি: Prabhakar Mani Tewari/DW

প্রবীণ সাংবাদিক দীপ্তেন্দ্র রায়চৌধুরী মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গেও রথযাত্রা ভালো কাজ করবে। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''বিজেপি যেভাবে হাওয়া তুলতে পেরেছে, তা ইতিমধ্যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরবে কি না, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।'' দীপ্তেন্দ্র মনে করেন, ''রথযাত্রার মতো জনসংযোগ কর্মসূচির ফলে ফ্লোটিং ভোটারদের টেনে আনতে পারে। ভোটারদের সংহত করা এবং সংগঠনকে জোরদার করার কাজটা রথযাত্রার মাধ্যমে করে ফেলতে পারে বিজেপি।''

ভোটের প্রচার এখন অনেকাটাই সামাজিক মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটালি প্রচার করার দিকে ঝুঁকছে সব দলই। কিন্তু প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে দেখা গেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলগুলিকে প্রচার করতে হয়েছে। পুরনো অথচ কার্যকর পন্থা নিতে হয়েছে দলগুলিকে। রথযাত্রার মাধ্যমে জনসংযোগের কাজটা খুবই ভালোভাবে হয়। সেজন্যই রথযাত্রার জনপ্রিয়তা বাড়ছে বই কমছে না। বিশেষ করে ফ্লোটিং ভোটারদের কাছে টেনে আনতে এর জুড়ি মেলা ভার।'' তাই বিজেপি রথযাত্রাকে ছাড়ছে না।

পশ্চিমবঙ্গে মোদী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। সরকারি অনুষ্ঠানে হলদিয়া গেলেও তিনি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ফেব্রুয়ারির শেষে তাঁকে দিয়ে ব্রিগেডে জনসভা করাতে চাইছে রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম ও কংগ্রেসের ব্রিগেডে জনসভা আছে। তার আগে বা পরে মোদীর জনসভাও হতে পারে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)