পর্তুগালে ফ্যাসিজমের জাদুঘর
পর্তুগালের পেনিশের এই কারাগারটিতে একসময় ফ্যাসিজমবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টদের বন্দি করে নির্যাতন করা হতো৷ তাঁদের মৃত্যুর সাথে যেন স্মৃতি এবং অভিজ্ঞতারও মৃত্যু না ঘটে, সে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার৷
দুঃসহ স্মৃতি
ডমিনিগোস আব্রান্তেস একসময় এই কারাগারেই বন্দি ছিলেন৷ শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতভেদের কারণে প্রতিদিন যে অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করতে হতো, তা এখনো তাঁকে তাড়া করে ফেরে৷
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
ছবিতে দুই পাশে নির্যাতনের কক্ষ দেখা যাচ্ছে৷ আন্তোনিও সালাজারের শাসনামলে এসব কক্ষেই বন্দিদের আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হতো৷ ইউরোপ জুড়ে আবার ঘটছে উগ্র ডানপন্থিদের উত্থান৷ ফলে, এখন নতুন প্রজন্মকে অতীতের কথা আরো বেশি করে মনে করিয়ে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা৷
ফ্যাসিবাদের থাবা
ছবিতে সাবেক এই রাজনৈতিক কারাগারের প্রবেশ পথ দেখা যাচ্ছে৷ সালাজার ১৯৩২ সাল থেকে ১৯৬৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কঠোর হাতে পর্তুগাল শাসন করেন৷ তবে ১৯৭৪ সালে ‘কারনেশন’ বিপ্লবের আগ পর্যন্ত এই ধারা বজায় ছিল৷
গোপন পুলিশ
ছবিতে দেখা যাচ্ছে নির্যাতনের কক্ষগুলো৷ পেনিশের এই দুর্গাকৃতির কারাগার রাজধানী লিসবন থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত৷ এখান থেকেই সালজারের গোপন পুলিশ পিডে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতো৷
কারাগার এখন জাদুঘর
সামনের বছর এপ্রিল মাসেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে এই কারাগার৷ আগের সরকার অবশ্য কারাগারটিকে প্রাইভেট খাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ কিন্তু ১৯৭৪ সালে যারা বিপ্লব করেছিল, তাঁদের সহায়তায় বর্তমান সমাজতান্ত্রিক সরকার আগের সিদ্ধান্ত পালটে দিয়েছে৷
বন্দি জীবন কেমন?
কারাগারের একটি কক্ষের জানালা দেখা যাচ্ছে৷ বেশিরভাগ সময়ই অবশ্য এই জানালাগুলো বন্ধ থাকতো৷ ফলে আলো বাতাসের দেখা খুব কমই পেতেন বন্দিরা৷ একেকজন বন্দিকে ২২ থেকে ২৩ ঘণ্টা বন্দি করে রাখা হতো এসব কক্ষে৷
মুছে ফেলা ইতিহাস
অ্যাক্টিভিস্টদের অভিযোগ, আগের সরকারগুলো পর্তুগালের ফ্যাসিবাদী অতীত মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে৷ যেমন, লিসবনে সালাজারের পুলিশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে পালটে ফেলা হয়েছে বিলাসবহুল হোটেলে৷
নতুন যুগ, নতুন আশঙ্কা
এই কারাগারেও সাধারণ সব কারাগারের মতোই ছিল স্বজনের সাথে দেখা করা, কথা বলার ব্যবস্থা৷ কিন্তু সে সুযোগ খুব কমই পেতেন বন্দিরা৷