পরীক্ষায় নকল করতে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি!
চীনের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার নাম ‘গাওকাও’৷ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই পরীক্ষায় পাস করতে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা৷
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলে ভালো অংকের বেতনের একটি চাকরি জুটতে পারে বলে মনে করে চীনা শিক্ষার্থীরা৷ তাই প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়৷ চলতি বছর অংশ নিচ্ছে প্রায় ৯৪ লক্ষ জন৷ তবে ভর্তির সুযোগ মিলবে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থীর৷
সফল হতে নকল
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সফল হতে অনেকেই নকলের আশ্রয় নিয়ে থাকে৷ এক্ষেত্রে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে থাকে৷ যেমন ছবিতে একটি বেল্ট দেখতে পাচ্ছেন৷ কিন্তু এটি আসলে একটি ওয়্যারলেস ডিভাইস৷
না, এটি ঘড়ি নয়
দেখে ঘড়ি মনে হলেও এটিও আসলে একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিভাইস৷
রাবার? কিন্তু না
হ্যাঁ দেখে রাবার মনে হলেও এটি কিন্তু নকল করার কাজে ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা৷ কারণ, শিক্ষককে ফাঁকি দিতে এই ওয়্যারলেস ডিভাইসটি রাবারের মতো আকৃতি করে বানানো হয়েছে৷
এয়ারপিস
ছোট্ট এই জিনিসটি দুই কানে লাগিয়ে পরীক্ষা হলের বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব৷ তাইতো পরীক্ষার্থীদের অনেকের কাছেই ভীষণ প্রিয় এটি৷
কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ
সবকিছু যেহেতু ওয়্যারলেস প্রযুক্তি দিয়ে করা হচ্ছে, তাই পরীক্ষা হলের পাশে এ ধরণের সংকেত চলাচল বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ ছবিতে এক ব্যক্তিকে সেই কাজই করতে দেখা যাচ্ছে৷
আরও নিরাপত্তা
পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে এক শিক্ষার্থীকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করা হচ্ছে৷ এছাড়া একজনের পরীক্ষা যেন আরেকজন দিতে না পারে, সেজন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তিরও সাহায্য নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ৷
আছে পুলিশি তৎপরতা
এক পুলিশ সদস্য মনিটরে পরীক্ষার হল পর্যবেক্ষণ করছেন৷
ড্রোনও বাদ নেই
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, চীনের অনেক জায়গায় নাকি নকল ধরতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷