পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, ওমর সুলাইমানের সঙ্গে ইসরায়েলের সখ্যতা
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১সংলাপেও লাভ হয়নি
বিরোধীদের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলাইমানের আলোচনার পর একদিন পার হয়ে গিয়েছে৷ এরপরও তেমন কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না মিশরে৷ বরং আবারও বিক্ষোভে উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷ কারণ আগামীকাল বুধবার কায়রোর তাহরির চত্বরে দশ লাখ মানুষের গণসমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে মুবারক বিরোধীরা৷ এছাড়া এখনও কায়রোর রাজপথ গণতন্ত্রকামী মানুষদের দখলেই রয়েছে৷ অন্যদিকে বিরোধীদের সঙ্গে সরকারের সংলাপের বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচকভাবে দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ তবে তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে কিন্তু কায়রোর বর্তমান পরিস্থিতির কোন মিল নেই৷ কারণ দুই সপ্তাহের গণবিক্ষোভে নিহত হয়েছে তিন শত মানুষ৷ তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, এই সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বেশি৷
সুলাইমানের ভবিষ্যত জানে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল
ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলাইমানকে মিশরের ক্ষমতায় দেখতে চায় ইসরায়েল, এমন একটি তথ্য জানিয়ে মার্কিন দূতাবাসের একটি তারবার্তা ফাঁসের কথা শোনা যাচ্ছে৷ উইকিলিক্স এর ফাঁস করা এই তারবার্তাটি ছাপিয়েছে ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকা৷ এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডেভিড হেশাম মার্কিন কর্মকর্তাদের জানান যে ইসরায়েল আশা করছে প্রেসিডেন্ট মুবারকের জায়গায় সুলাইমান আসবেন৷ হেশাম আরও জানান, যে মিশরের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি হটলাইন রয়েছে, যা নিয়মিতই ব্যবহৃত হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, এই তারবার্তাটি করা হয়েছিল ২০০৮ সালে৷ অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে সুলাইমানের ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল আগে থেকেই অবহিত ছিল৷ উল্লেখ্য, শনিবারই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, যে মিশরের ক্ষমতা পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ওমর সুলাইমান সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি৷
গুগলের কর্মকর্তার মুক্তি
এদিকে গুগলের একজন কর্তা ব্যক্তিকে গতকাল মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর নাম ওয়ায়েল গোনাইম৷ গত ২৮ জানুয়ারি তাঁকে নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতার করে৷ গ্রেফতারের পর তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ সোমবার এক সাক্ষাৎকারে গুগলের কর্মকর্তা ওয়ায়েল গোনাইম গণবিক্ষোভে এত প্রাণহানির জন্য মুবারকের প্রশাসনকে দায়ী করেছেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা