পরিসংখ্যানে দিকহারা, ব্যর্থ, বিপর্যস্ত বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আট ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ৷ অবশ্য দুটো জয়ই এসেছিল বাছাই পর্বে৷ ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবকিছুতেই হতাশ করেছে টাইগাররা৷
নন-টেস্ট প্লেয়িং দেশের বিরুদ্ধে জয়
আট ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পায় টাইগাররা৷ দুটিই ছিল বাছাই পর্বের ম্যাচ৷ নন-টেস্ট প্লেয়িং দেশ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে জেতে বাংলাদেশ৷ তবে হেরেছে আরেক নন-টেস্ট প্লেয়িং দেশ স্কটল্যান্ডের কাছে৷ সুপার টুয়েলভে টেস্ট খেলুড়ে পাঁচ দেশের সঙ্গেই হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা৷
সাত বিশ্বকাপে সাত জয়
বাংলাদেশ সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে৷ ৩৩টি ম্যাচ খেলে মাত্র সাতটিতে জিতেছে৷ এর মধ্যে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এক ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ৷ ২০০৭ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঐ জয় পেয়েছিল টাইগাররা৷
সর্বোচ্চ রান
বাংলাদেশিদের মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন নাঈম৷ আট ম্যাচের মধ্যে সাতটি খেলে তার মোট সংগ্রহ ১৭৪ রান৷ এরপরে আছেন মাহমুদউল্লাহ (আট ম্যাচে ১৬৯), মুশফিকুর রহিম (আট ম্যাচে ১৪৪), লিটন দাস (আট ম্যাচে ১৩৩) ও সাকিব (ছয় ম্যাচে ১৩১ রান)৷
কম স্ট্রাইক রেট
সর্বোচ্চ রান করা নাঈমের স্ট্রাইক রেট ছিল ১১০.৮২, যা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বিবেচনায় খুব একটা আশাপ্রদ নয়৷ একশর বেশি রান করা অন্যান্যদের স্ট্রাইক রেট ছিল মাহমুদউল্লাহ (১২০.৭১), মুশফিকুর রহিম (১১৩.৩৮), লিটন দাস (৯৪.৩২) ও সাকিব (১০৯.১৬)৷
অর্ধশতক চারটি
আট ম্যাচে অর্ধশতক এসেছে চারটি৷ এর মধ্যে নাঈম ওমান (৫০ বলে ৬৪ রান) ও শ্রীলঙ্কার (৫২ বলে ৬২ রান) বিরুদ্ধে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন৷ এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মুশফিকুর রহিম ৩৭ বলে ৫৭ রান ও পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে মাহমুদউল্লাহ ২৮ বলে ৫০ রান করেন৷
সর্বোচ্চ উইকেট
ছয় ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন সাকিব৷ ইকোনমি রেটেও শীর্ষে তিনি (৫.৫৯)৷ এরপর মেহেদী ও মুস্তাফিজ আটটি করে উইকেট নিয়েছেন৷ মেহেদী আট ম্যাচ খেললেও মুস্তাফিজ খেলেছেন সাতটি৷ মেহেদীর ইকোনমি রেট ৬.১২৷ তবে মুস্তাফিজ একটু খরুচে বল করেছেন (ইকোনমি রেট ৯.২৫)৷