পরিসংখ্যানে আফগানিস্তানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য
দুর্ভিক্ষে ভুগছে আফগান মুলুক৷ খাদ্যের উপর তালেবানদের মূল্য নিয়ন্ত্রণে চরম বিপাকে নাগরিকরা৷ তালেবানদের এড়িয়ে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা খাদ্য প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবকদের৷
খাদ্য সংকটে আফগানরা
বিশ্বের মধ্যে আফগানিস্তানের খাদ্য সংকট অন্যতম আলোচিত বিষয়৷ জাতিসংঘের তরফে শুধু আফগানিস্তানের জন্য ২০২২ সালে প্রায় ৩৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা সাহায্য চাওয়া হয়েছে৷ এর আগে শুধুমাত্র একটি দেশের জন্য এত অর্থ চাওয়া হয়নি৷
ভাঙছে অর্থনীতি
আচমকা তালেবান অভ্যুত্থানে ভেঙে পড়ছে অর্থনীতি৷ কয়েক দশকের মধ্যে এমন অনাবৃষ্টি দেখেনি সে দেশ৷ ২০২১ সালের আগস্ট নাগাদ ক্ষমতায় রাষ্ট্রের সম্পদ কুক্ষিগত করেছে তালেবানরা৷ দেশের চার কোটি মানুষের জন্য বিদেশ থেকে আসা উন্নয়ন তহবিলও দখল করেছে৷
দুর্ভিক্ষের কবলে
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, ২.৩ কোটি আফগান চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে৷ ৯০ লাখ আফগান দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে৷
অপুষ্টির শৈশব
পাঁচ বছরের কম বয়সি ১০ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগে মারা যেতে পারে৷ ৭০ শতাংশ আফগান গ্রামে বাস করলেও কৃষি থেকে ৮৫ শতাংশের কোনও রোজগার নেই৷
জাতিসংঘের রিপোর্টে শঙ্কা
২০২১ সালে মোট ৪২ লাখ আফগান হিংসা, খরা-সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার৷ জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ৯৭ শতাংশ দারিদ্রসীমার নীচে চলে যাবেন৷ তালেবানরা ক্ষমতায় আসার আগে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দরিদ্র ছিলেন৷
কমছে আয়
২০১২ সালে মাথাপিছু আয় ছিল প্রায় ৫৬ হাজার বাংলাদেশি টাকা৷ ২০২২ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকায়৷
কর্মহীন নারী
দেশের জিডিপির ৪০ শতাংশ আসত আন্তর্জাতিক একাধিক তহবিল থেকে৷ ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর তা দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে৷ নারীদের কাজ ‘কেড়ে’ নেওয়ার ফলে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে আফগানিস্তানের, যা মোট জিডিপির প্রায় ৩-৫ শতাংশ৷
ধুঁকছে অর্থনীতি
বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, চরম ক্ষতির সম্মুখীন সার্বিক অর্থনীতি৷ মঙ্গলবার জাতিসংঘ আবেদন করেছে, মৌলিক পরিষেবাগুলিকে আরও বাড়াতে হবে৷ তালেবানদের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যদের কাছে সরাসরি অর্থ পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে৷