1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবর্তিত আবহে জার্মান চ্যান্সেলরের জাপান সফর

২০ মার্চ ২০২৩

চ্যান্সেলর হিসেবে তার প্রথম এশিয়া সফরেও জাপানে গিয়েছিলেন ওলাফ শলৎস৷ তবে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বিশাল দল নিয়ে শলৎসের এই টোকিও সফরের তাৎপর্য অনেক আলাদা৷

https://p.dw.com/p/4OwA2
টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ওলাফ শলৎস ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা
টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ওলাফ শলৎস ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাছবি: Nicolas Datiche/REUTERS

১১ মাস আগে, অর্থাৎ ২০২২ সালের এপ্রিলে জার্মানির নতুন চ্যান্সেলরের টোকিও সফরটির মূল উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়ন৷ তবে এবারের সফরে তার চেয়ে এগিয়ে গিয়ে রাখছে উন্নত সম্পর্ককে অনেক দূর এগিয়ে নেয়ার বার্তা৷ তাই সপ্তাহান্তে সাড়ে বারো ঘণ্টার বিরতিহীন বিমানযাত্রায় কেন্দ্রীয় অর্থনীতি এবং জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী  রবার্ট হাবেক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস, ডিজিটাল ও পরিবহণমন্ত্রী ফল্কার ভিসিং, অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবককে সঙ্গে রেখেছেন শলৎস৷

শনিবার সন্ধ্যায় জার্মানির চ্যান্সেলর ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা যখন হানেদা বিমানবন্দরে নামেন, টোকিওয় তখন ঝুম বৃষ্টি৷ বিমান থেকে নামতেই শলৎস ও তার সফরসঙ্গীদের জার্মানির পতাকার রঙের ছাতা মাথায় তুলে দিয়ে স্বাগত জানানো হয়৷

জার্মানির আগের দুই চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্র্যোয়েডার এবং আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে এশিয়ায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে চীন৷ ধারণা করা হচ্ছে, শলৎস সরকার চীনের দিক থেকে নজর ধীরে ধীরে জাপানের দিকে সরাবেন৷ সাম্প্রতিক সময় তেমন ইঙ্গিতই রাখছে৷ বিশেষ করে ইউক্রেনে হামলার কারণে জাপান রাশিয়ার নিন্দা করার পর থেকে বার্লিন-টোকিওর দূরত্ব দ্রুতই কমছে৷

ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের মতো জাপানের সামনেও আশঙ্কার আঁধার ছড়িয়েছে৷ জাপান সরকার মনে করে, পুটিন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে পার পেয়ে গেলে রাশিয়ার মিত্র দেশ চীনও বেপরোয়া হয়ে উঠবে, তারাও ভবিষ্যতে এশিয়ায় ‘কর্তৃত্ব' প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে একইভাবে৷

সেই আশঙ্কা থেকেই ইউক্রেন প্রশ্নে রাশিয়া এবং চীনের ঠিক বিপরীতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে টোকিও, রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করার সময়  জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাবে সমর্থন না জানালেও তাই ইউক্রেনে হামলার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়ে মস্কোর বিরাগভাজন হওয়ার ঝুঁকিও নিয়েছে জাপান৷

ওলাফ শলৎস শনিবার টোকিও সফরের শুরুতেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিসিদার সঙ্গে বৈঠকে বসেন৷ ৯০ মিনিটের রুদ্ধদার সেই বৈঠকের পর তিনি জানান, চলতি সফরের মাধ্যমে দুই দেশ জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি সংকট, খাদ্য নিরাপত্তা, সাইবারনিরাপত্তা, টেলিযোগ এবং ভূ-রাজনৈতিক নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে একসাথে কাজের সূচনা করবে৷

রোববার সকালে জার্মান চ্যান্সেলর ও তার মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের জাপান সফর শেষ হয়৷ আগামী মে মাসে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন হবে হিরোশিমায়৷ আশা করা হচ্ছে তখন আবার জাপানে যাবেন ওলাফ শলৎস৷

নিনা হাসে / এসিবি