1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিধি বাড়িয়ে চীন, ভারত, রাশিয়ার সঙ্গে হাত মেলাবে ন্যাটো

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ভারত, চীন আর রাশিয়ার মত শক্তিধর দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছে ন্যাটো৷ মহাসচিব রাসমুসেন জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষে বললেন এই কথা৷

https://p.dw.com/p/LvFe
মিউনিখ সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন ন্যাটোর মহাসচিব রাসমুসেনছবি: AP

ন্যাটো কী চাইছে

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা যেমন প্রয়োজনীয় সেরকমই দরকার হয়ে পড়েছে নতুন সব হুমকির মোকাবিলা করাটাও৷ যার মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে সাইবার সন্ত্রাসের ভয়৷ এইসবের মোকাবিলা করতে উত্তর অতলান্তিক সামরিক জোট বা ন্যাটো এবার বিশ্বের অন্যপ্রান্তের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চায়৷

NATO Konferenz Vilnius Gruppenbild Verteidigungsminister
ন্যাটো সদস্য দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, ফাইল ছবিছবি: AP

কে বললেন একথা ?

মিউনিখে রবিবার সন্ধ্যায় শেষ হওয়া নিরাপত্তা সম্মেলনে ন্যাটোর মহাসচিব আন্দ্রেস ফগ রাসমুসেনের ভাষণে শোনা গেল এই নতুন ধাঁচের কথা৷ ন্যাটো, যার নামের মধ্যেই পরিচয় লুকিয়ে রয়েছে, যে এই সামরিক জোট মূলত অতলান্তিক সমুদ্রের উত্তরাঞ্চলের দেশগুলোর কথা ভেবে করা হয়েছিল৷ এর সঙ্গে ইউরোপ আর উত্তর অ্যামেরিকার সম্পর্ক রয়েছে৷ কিন্তু মহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ন্যাটোর মত মিলিজুলি সংগঠন যদি এশিয়া আর রাশিয়ায় ডালপালা ছড়াতে চায়, তাতে আপত্তির কী আছে ? এ প্রশ্নই তুললেন রাসমুসেন৷

হঠাৎ করে সীমানা ছাপানোর কারণ

কারণটাও ওই রাসমুসেন বলে দিয়েছেন৷ তাঁর অভিমত, সময় এসে গেছে, যখন বিশ্বের সবপ্রান্তের শক্তিগুলির প্রয়োজন নিত্য নিয়মিত যোগাযোগ৷ দরকার তথ্য আদানপ্রদান করারও৷ এইসবের জন্যই মধ্যবর্তীর ভূমিকা নিতে চায় ন্যাটো৷ তাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াইটা কোমরে অনেক জোর পাবে৷ ভারত বা চীনের মত ক্রমশ বিকাশশীল দেশগুলির দিকে এখন গোটা বিশ্বের মনোযোগ৷ রাসমুসেন মনে করেন, ন্যাটো সেখানে নিরাপত্তা বিষয়ে ভূমিকা নিতে পারবে অতি সহজেই৷

সেরকম ঘটলে বিশ্বের পরিধি আরও বিস্তৃত হবে

সেটাই রাসমুসেনের বা ন্যাটোর ব্যাখ্যা৷ মহাসচিব মনে করেন, শুধুমাত্র সন্ত্রাস মোকাবিলার ক্ষেত্রেই নয়, এতগুলি দেশ মিলে একটা যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা নিরাপত্তা শৃঙ্খল গড়ে তুলতে পারলে তাতে অনেক লাভও আছে৷ সামরিক বাহিনীর যে বিপুল খরচ প্রতিটি দেশকে সদাসর্বদা করে যেতে হয়, তাতেও সাশ্রয় হবে অদূর ভবিষ্যতে৷ তবে এই পুরো বিষয়টিই এই মুহূর্তে গবেষণা এবং আলাপ আলোচনার স্তরে রয়েছে৷ সব বিষয়ে নিশ্চিত হলেই অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা দেখব, ন্যাটো তথা সামরিক জোটের পরিধি অনেকটাই বাড়বে এবং এই প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় বিশ্বজুড়ে৷

প্রতিবেদন - সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনা - রিয়াজুল ইসলাম