1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশ্ব

২ আগস্ট ২০২২

এনপিটি চুক্তি সংক্রান্ত সম্মেলনে বিশ্বনেতারা পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কা সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন৷ অন্যান্য চলমান সংকটের পাশাপাশি এই হুমকিও বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4Ezo0
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেশ
ছবি: Yuki Iwamura/AP Photo/picture alliance

পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি এনপিটি সংক্রান্ত দশম সম্মেলনে বক্তারা বর্তমানে পৃথিবীর বুকে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কা সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন৷ বিশেষ করে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এমন ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে বলে তাঁরা মনে করছেন৷

পাঁচ বছর অন্তর ‘এনপিটি রিভিউ' সম্মেলনে ঐতিহাসিক এই চুক্তির অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়৷ পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধের পাশাপাশি এই চুক্তির আওতায় পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও তরান্বিত করা হয়৷ করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে নির্ধারিত সময়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হয় নি৷ বাধ্য হয়ে  সম্মেলনের দিনক্ষণ ২০২২ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে হয়েছিল৷

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় সমস্যা ও ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এনপিটি রিভিউ সম্মেলন বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, রাশিয়া যেভাবে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে' পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়ে চলেছে, তা অন্তন্ত নিন্দনীয়৷ তার মতে, বিশ্বে পরমাণু অস্ত্র সম্বল করে বলপ্রয়োগ, হুমকি ও ব্ল্যাকমেলের কোনো জায়গা থাকতে পারে না৷ ঐক্যবদ্ধভাবে এমন আচরণের বিরোধিতার ডাক দেন ব্লিংকেন৷

ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিকোলা টচিটস্কি তার দেশে যুদ্ধের সময়ে পরোক্ষভাবে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকিরকারণে রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন৷ ত পরমাণু শক্তিধর এক দেশ কীভাবে পরমাণু সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিচ্ছে, গোটা বিশ্ব সেই বাস্তবের সাক্ষী হচ্ছে৷ বৈশ্বিক মাত্রায় পরমাণু বিপর্যয় প্রতিরোধ করতে টচিটস্কি সম্মিলিতভাবে জোরালো পদক্ষেপের ডাক দিয়েছেন৷ রাশিয়ার এমন আচরণের শাস্তিরও দাবি করেন তিনি৷

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেশ বলেন, জলবায়ু সংকট, সমতার অভাব, হিংসাত্মক সংঘাতের পাশাপাশি করোনা মহামারির মতো ঘটনা গোটা বিশ্বের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে৷ তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের এমন আশঙ্কা দেখে নি৷ হিরোশিমা ও নাগাসাকির শিক্ষা ভুলে মানবজাতি এমন বিপদের দিকে এগিয়ে চলেছে বলে গুতেরেশ সতর্ক করে দেন৷ তার মতে, এমনটা চলতে থাকলে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রকে হুমকি হিসেবে অপব্যবহারের অভিযোগ করেন৷ তাছাড়া পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাবার জন্য তিনি ইরানেরও সমালোচনা করেন৷ তার মতে, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরমাণু অস্ত্রের বাস্তবতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন তার লিখিত বার্তায় বলেছেন, যে পরমাণু যুদ্ধে কেউ জয়ী হতে পারে না বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ তাই কাউকে সেই যুদ্ধ শুরু করার অনুমতি দেওয়া চলে না৷ এনপিটি চুক্তির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে রাশিয়া তার দায়িত্ব পালন করে যাবে বলে পুটিন আশ্বাস দেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এপি)