1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু ইস্যুতে ইরান ও পশ্চিমা বিশ্বের সমঝোতার কোন সম্ভাবনা নেই : গেটস

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০

পরমাণু বিনিময় প্রস্তাব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে এক সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছেছে তেহেরান - পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুশের মোত্তাকি এ কথা বললেও, এ সম্ভাবনার কথা সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস৷

https://p.dw.com/p/LuUM
ইস্তানবুলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসছবি: AP

শুক্রবার জার্মানির মিউনিখ শহরে নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে এসে, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল বিল্টের সঙ্গে এক বৈঠকের পর ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোত্তাকি বলেন, ‘‘পরমাণু ইস্যুতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজনৈতিক প্রত্যয়৷ আর আমার মনে হয়, সেই রাজনৈতিক প্রত্যয় আমাদের রয়েছে৷''

মোত্তাকি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর মনে হচ্ছে যে তারা একটি সর্বগ্রহণযোগ্য সমঝোতার দিকে এগোচ্ছে৷ কারণ, বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মোত্তাকির মনে হয়েছে যে অদূর ভবিষ্যতে এই বিনিময়ের জন্য একটি অবস্থান তৈরি হওয়া সম্ভব৷ তাই পরমাণু জ্বালানী বিনিময়ের ব্যাপারে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-এর প্রস্তাব তেহেরান কিছু পরিবর্তন সাপেক্ষে মেনে নিতে রাজী বলে জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘‘পরমাণু বিনিময় প্রস্তাবে যে দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে - তাদের ঠিক কতো পরিমাণ জ্বালানী পাঠানো হবে - তা উল্লেখ করার জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে আহ্বান করেছি আমরা৷''

Manouchehr Mottaki
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুশের মোত্তাকিছবি: AP

কিন্তু তারপরও, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস জানিয়েছেন যে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরী করবে না - আন্তর্জাতিক সমাজকে এখনও পর্যন্ত এহেন কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি তেহেরান৷ তাই পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে ইরানকে রাজী করানোর বিষয়ে, শনিবার আবারো বৈঠক করেছে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে সেখানে ইরানের নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন৷ ভেস্টারভেলের কথায়, ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে৷ আর তা না হলে, ইরানের ওপর চতুর্থ দফায় অবরোধ আরোপ করবে পশ্চিমা বিশ্ব৷ এ বিষয়ে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল বিল্ট জানান, ‘‘আমার মতে ইরানকে তাদের তরফ থেকে আসা যে কোনো প্রস্তাব যতো শীঘ্র সম্ভব আইএইএ-এর কাছে লিখিতভাবে পেশ করতে হবে৷ একমাত্র তবেই বিষয়টি আলাপ-আলোচনা হতে পারে৷''

উল্লেখ্য, আইএইএ-এর প্রস্তাব অনুযায়ী, ইরান নিম্নমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাবে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তা উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ করে ইরানকে ফেরত দেওয়া হবে৷ তবে ঐ ইউরেনিয়াম ফেরত পাওয়ার জন্য তেহরানকে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে এ কথা বলা হলে, ইরান তার বিরোধিতা করে এবং স্বল্প প্রক্রিয়াজাত পরমাণু অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়৷ শুধু তাই নয়, ইউরেনিয়াম উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ করে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজকে গ্যারান্টি দিতে বলে তেহেরান৷

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : জাহিদুল হক