পবিত্র হজ পালনের কয়েকটি ধাপ
ইসলামি শরিয়ত মতে, সামর্থ্য আছে এমন প্রতিটি মুসলমানের জন্য হজ করা ফরজ৷ বিশ্বের কয়েক লাখ মুসল্লি প্রতি বছর হজ পালন করতে মক্কায় যান৷ ছবিঘরে থাকছে হজ পালনের কয়েকটি ধাপ৷
হজের দিন-তারিখ
হিজরি ক্যালেন্ডার মাসের ১২তম মাস জিলহজ৷ এই মাসের ৮ থেকে ১৩তম দিন পর্যন্ত হজ অনুষ্ঠিত হয়৷
তাওয়াফ
ইসলাম ধর্মে মুসলমানরা কাবাকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান বলে মনে করেন৷ তাই কাবার দিকে মুখ করেই তাঁরা নামাজ আদায় করেন৷ হজ পালনের সময় মুসল্লিরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ করেন৷
ইহরাম
ইহরাম, অর্থাৎ নিষিদ্ধ আর এই শব্দটি হারাম থেকে এসেছে৷ ইহরামের মাধ্যমে হজ শুরু হয়ে থাকে৷ হজ পালনের সময় কোনো পুরুষের স্ত্রী সহবাস, চুল, নখ, গোঁফ, বগল নাভির নীচে শেভ করা, সেলাই করা পোশাক না পরা, সুগন্ধি ব্যবহার এবং শিকার করা হারাম৷
মিনায় যাত্রা
ইহরামের পর হজ পালনকারীরা মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করেন৷ দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো হলেও হজ পালনকারীদের জন্য মিনায় থাকা সুন্নত৷ সকাল না হওয়া পর্যন্ত মুসল্লিরা মিনাতে থাকেন এবং নামাজ আদায় করেন ও সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করেন, তাঁকে ডাকেন৷
আরাফাতে থাকা
আরাফাতে থাকা হজ পালকারীদের জন্য ফরজ৷ হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে মিনা থেকে আরাফাতের উদ্দেশে রওনা হতে হয়৷ এই দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার৷ ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই মূলত হজ৷ সেসময় মুসল্লিদের কণ্ঠে ‘লাব্বাইকা আল্লাহুমা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইকা’ ধ্বনিতে আরাফাতের ময়দান মুখরিত থাকে৷
পাথর সংগ্রহ
হজ পালনকারীরা ৯ জিলহজ সন্ধ্যায় আরাফাত থেকে মুযদালিফায় রওনা হন এবং সেখানে রাতে থাকেন৷ মিনায় শয়তানকে পাথর ছোড়র জন্য সেখান থেকে পাথর সংগ্রহ করেন হজ পালনকারীরা৷
পাথর ছুড়ে মারা
শয়তানকে পাথর ছুড়ে মারা কিন্তু হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ ১০ জিলহজ বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও ১১ এবং ১২ জিলহজ ছোট, বড় ও মধ্যম, অর্থাৎ তিন শয়তানকেই পাথর ছোড়া মূলত প্রতীকী কাজ৷
মিনায় শেষ দিন
শেষ দিনও মিনায় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়৷ সেদিন শয়তানকে লক্ষ্য করে সাতটি করে পাথর ছোড়া হয় এবং মিনাতে দুই থেকে তিন দিন থাকতে হয়৷ তারপর মুসল্লিরা মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে শেষ তাওয়াফ করেন৷