1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পতনের মুখে আইএস-এর শেষ ঘাঁটি

৭ মার্চ ২০১৯

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সবশেষ ঘাঁটি সিরিয়ার বেঘুজ থেকে ‘আইএস’ নারী ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স, এসডিএফ৷ আটক করা হয়েছে কয়েকশো জঙ্গিকে৷ শিগগিরই শুরু হবে অভিযান৷

https://p.dw.com/p/3EbU6
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের বেঘুজ থেকে পালানোর সময় ৪০০ আইএস জঙ্গিকে গেপ্তার করেছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী এসডিএফ৷ পাশাপাশি কয়েকশো আইএস যোদ্ধা বুধবার আত্মসমর্পণ করেছে বলেও জানিয়েছে বাহিনীর একজন কমান্ডার৷ নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না গেলেও আইএস যোদ্ধা, নারী, শিশুসহ ২০০০ জনকে গ্রামটি থেকে এখন পর্যন্ত সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷

বেঘুজে পুরোদস্তুর অভিযান শুরুর আগে জায়গাটি খালি করার জন্য অপেক্ষায় আছে এসডিএফ৷ এটিই এখন আইএস জঙ্গিদের সবশেষ ঘাঁটি৷ আইএস-এর কট্টর যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ আর গুহায় অবস্থান নিয়ে এটি এতদিন দখলে রেখেছে৷ এসডিএফ এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘এখানে জঙ্গিদের বড় একটি দল আছে যারা আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয়৷'' তবে গেল সপ্তাহের শেষে এসডিএফ এর আর্টিলারি ও বিমানবাহিনীর ভারী গোলাবর্ষণে অনেক যোদ্ধা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ 

স্থানান্তর প্রক্রিয়া

এলাকাটি থেকে আইএস উদ্বাস্তু নারী ও শিশুদের সরিয়ে নিতে এসডিএফকে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ উদ্ধারকৃতের উত্তরপূর্ব সিরিয়ার আলহোল ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী কমিটির হিসাবে ক্যাম্পটিতে এখন ৬০,০০০ বাসিন্দা আছে৷ যার মধ্যে ডিসেম্বরের পর থেকে ৫০,০০০ জনের ঠাঁই হয়েছে৷ মারা গেছে ৯০ জন, যাদের দুই তৃতীয়াংশই শিশু ও নবজাতক৷ বুধবার আশ্রয় নেয়াদের মধ্যেও ১১ বন্দি ইয়াজিদি শিশু রয়েছে৷

আইএস নারীদের আত্মবিশ্বাস

আত্মসমর্পণকারী একজন ৩০ বছর বয়সি ইরাকী নারী৷ বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি জানিয়েছেন, এক বছর বয়সি অসুস্থ শিশুর কারণেই তিনি এই ঘাঁটি ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছেন৷ ‘‘শুধুমাত্র শিশুটির চিকিৎসার জন্যই আমি এই জায়গা ছেড়ে যাচ্ছি,'' বলেন তিনি৷ এসময় এসডিএফকে অভিশাপ দিচ্ছিলেন তিনি৷ ক্যাম্পে স্থানান্তরের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ইসলামিক স্টেট থাকবে এবং সামনে আরো বিস্তৃত হবে৷'' তাঁর শিশুটি সেদিন রাতেই ঠাণ্ডায় মারা যায়৷

ত্রিশ বছর বয়সি আরেক নারী নিজের পরিচয় দিয়েছেন লুবনা নামে৷ তিনি বলেন, তাঁর স্বামী এখনও বেঘুজে আছেন এবং আত্মঘাতী হামলার জন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন৷ এপিকে তিনি জানান, ‘‘তাঁদের নিজস্ব উড়োজাহাজ আছে৷ আর সঙ্গে ইশ্বরের সহযোগিতা রয়েছে৷'' নিজের ৫ শিশুকে তিনি জিহাদি হিসেবে গড়ে তুলবেন বলেও জানান এই নারী৷ 

বেঘুজ পতনের মধ্য দিয়ে আইএস ফেলাফতের আপাত অবসান হতে চললেও প্রত্যন্ত কিছু অঞ্চলে জঙ্গিরা এখনও লুকিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে৷ বেঘুজের পাশাপাশি সিরিয়ার মধ্য মরু অঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিমান হামলাও চলমান রয়েছে৷

এফএস/জেডএইচ (এপি, রয়টার্স, এএফপি)