1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটো সম্মেলনে মূখ্য বিষয় দায়িত্ব হস্তান্তর এবং সামরিক পরিকল্পনা

১৯ নভেম্বর ২০১০

লিসবনে দুই দিন ব্যাপী ন্যাটো সম্মেলন শুরু, এবারের ন্যাটো সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে- আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহার এবং নিরাপত্তার দায়িত্বটি আফগানিস্তানের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা৷

https://p.dw.com/p/QDNk
Banner, Lissabon, NATO Portugal, লিসবন, ন্যাটো, সম্মেলন, বৈঠকে, মহাসচিব, আন্দ্রেস, ফো, রাসমুসেন
লিসবন বৈঠকে ন্যাটো মহাসচিব আন্ডার্স ফঘ রাসমুসেনছবি: AP

শুক্রবার ন্যাটো মহাসচিব আন্ডার্স ফঘ রাসমুসেন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের যে উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা সেটি যথার্থ এবং বাস্তবসম্মত৷ অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে তিনি এও বলেছেন, আফগানিস্তানের কাছে নিরাপত্তা বিষয়ক দায়িত্ব হস্তান্তরে যত সময়ই লাগুক না কেন এর জন্য বিষয়ে জোট প্রস্তুত এবং দৃঢ়কল্প৷

জানা গেছে, পর্তুগালের লিসবনে দুইদিন ব্যাপী এই ন্যাটো সম্মেলনে আগামী দশকের জন্য ন্যাটোর সামরিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ৷ ন্যাটো সদস্যরা এই দুইদিনে ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তানের কাছে কিভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বটি হস্তান্তর করা যায় এরই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করতে চলেছেন৷

এদিকে জানা গেছে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং দায়িত্ব হস্তান্তর প্রসঙ্গে ন্যাটোর মহাসচিব রাসমুসেন বলেছেন, এই সম্মেলনে আমরা আফগানিস্তান প্রসঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘোষণা দিতে যাচ্ছি৷

তিনি বলেন- ২০১১ সাল থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমিকভাবে আমরা আফগানিস্তানের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বটি হস্তান্তর করবো এবং ২০১৪ সালের মধ্যে তা সম্পন্ন করবো৷ রাসমুসেন আরো বলেন আমি বিশ্বাস করি এই পরিকল্পনাটি বাস্তবানুগ এবং যথার্থ একটি সিদ্ধান্ত৷ আর এর রোডম্যাপটিও যথেষ্টই বাস্তব৷

আগামী বছর থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনাটি সম্পর্কে বিশদ কিছু এখনো পর্যন্ত জানতে পারিনি৷ তিনি আরো বলেন, অবশ্য আমার বিশ্বাস সেনা প্রত্যাহারে যতখানি সময় প্রয়োজন হবে এর জন্য জোটের সবাই প্রস্তুত আছেন৷

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আজ শুক্রবার ন্যাটো সম্মেলনকে উপলক্ষ্য করে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের স্থানীয় বাহিনীর কাছে ২০১৪ সালের মধ্যে পুরোপুরি দায়িত্ব হস্তান্তরের পরও ন্যাটো সবসময়ই আফগানিস্তানকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে দেশটির পাশেই থাকবে৷

বস্তুত ন্যাটোর এবারের সম্মলনটিতে এ’জোটের দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনার পাশাপাশি আগামী দশকে ন্যাটোর সামরিক কীশল এবং পরিকল্পনা কি হবে তারই রূপরেখা চূড়ান্ত করবেন৷ এই সম্মেলনে ২০১৪ সালের পরও ন্যাটো যাতে আফগানিস্তানের শান্তি এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রয়োজনে দেশটির পাশে দাঁড়াতে পারে সে বিষয়টি সম্পর্কেও একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক