1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নোবেল নিলেন বাংলাদেশের প্রফেসর মোহাম্দ ইউনূস

আব্দুল্লাহ আল-ফারূক১০ ডিসেম্বর ২০০৬

নরওয়ের রাজধানী অসলোয় নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করলেন ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের স্থপতি গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের প্রফেসর মোহাম্দ ইউনূস (১০.১২.০৬)৷ আবারও তিনি বললেন, বিপুল জনগোষ্ঠী যদি দারিদ্র্যের আবর্ত ভাঙতে না পারে তাহলে স্থায়ী শান্তি কখনও অর্জন করা যাবে না৷

https://p.dw.com/p/DPpJ
ছবি: AP

প্রফেসর ইউনূস যে-কথাগুলো বারবার বলে এসেছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে, অসলোয় নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে আবার তার পুনরুল্লেখ করলেন৷ বললেন, চরম দরিদ্রদশা থেকে দেখা দেয়া হতাশা, বিদ্বেষ আর ক্রোধ যদি বহাল থাকে তাহলে বিশ্বের কোথাও শান্তি স্থায়ী হবে না৷ তাঁর দাবি, গড়ে তুলতে হবে গ্রামীন ব্যাংকের মত স্বনির্ভর সমাজমুখি ব্যবসা-উদ্যোগের ওপর ভিত্তি করে এক সমান্তরাল অর্থনীতি৷ ইউনূস বলেছেন : আন্ত্রাপ্রানিওর কথাটাকে আরও ব্যাপক অর্থে সংজ্ঞায়িত করে পুঁজিবাদের চরিত্র মৌলিকভাবে বদলে দেয়া যেতে পারে এবং মুক্ত বাজারের কাঠামোর ভিতরেই অনেক

অমীমাংসিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে৷ ইউনুসের আশা, এ ধরনের সমাজসম্পৃক্ত ব্যবসা-উদ্যোগ আইনের স্বীকৃতি পাবে এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে গড়ে উঠবে তার নিজস্ব পুঁজির বাজার৷

বাংলাদেশের প্রথম নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনূস-এর উদাত্ত আহ্বান - দেশে দেশে নগরে নগরে দারিদ্র্য হয়ে উঠুক মিউজিয়ামের সামগ্রী৷ তিনি বলেন : সারা বিশ্বেই আমরা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ সৃষ্টি করতে পারি৷ গড়ে তুলতে পারি সেখানে দারিদ্র্যের মিউজিয়াম৷ দারিদ্র্য কী সেটা জানতে হলে তখন সেই দেশের মিউজিয়ামে যেতে হবে৷ এবং সেটা প্রতিটি শহরেই অর্জন করা সম্ভব৷

নোবেলভাষণে প্রফেসর ইউনূস একথাও উল্লেখ করতে ভোলেন নি যে, শুধু সামরিক পথে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা যাবে না৷ অস্ত্র খাতে অর্থব্যয়ের চেয়ে বরং দরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রা উন্নত করার জন্য সম্পদ বিনিয়োগকে অনেক বেশি কার্যকর কৌশল বলে তিনি মনে করেন৷

নোবেল পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান ওলে ডানবোল্ট ম্যোয়েস-এর কাছ থেকে এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করলেন আজ প্রফেসর মোহাম্দ ইউনূস ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীন ব্যাংকের ৭০ লক্ষ ঋণগ্রহীতাদের অন্যতম মোসাম্মত তসলিমা বেগম৷ মোট অর্থমূল্য এক কোটি সুইডিশ ক্রোনর অর্থাত্ ১১ লাখ ইউরো৷ ১৯৯২ সালে তসলিমা বেগম মাত্র ১৬ ইউরোর সমমূল্যের টাকা ঋণ নিয়ে তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করেন৷ আজ তিনি গ্রামীন ব্যাংকের নয় জন নির্বাচিত বোর্ড সদস্যদের অন্যতম৷