1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ

৮ মে ২০১৭

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ ইউরোপে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়লো৷ জনমোহিনী ‘পপুলিজম'-এর গ্রাস থেকে রক্ষা পেলো আরও একটি দেশ৷

https://p.dw.com/p/2ca30
এমানুয়েল মাক্রোঁ
ছবি: Reuters/B. Tessier

ট্রাম্প ও ব্রেক্সিটের ফলে ‘অঘটন' আজ অনেক বাস্তব আশঙ্কা হয়ে উঠেছে৷ তাই জনমত সমীক্ষায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে এমানুয়েল মাক্রোঁ বেশ বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ফল প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত হতে পারছিলেন না৷ তার উপর রবিবার দিনের শেষেও যখন দেখা গেল, ভোটগ্রহণের হার প্রথম পর্বের তুলনায় কম – তখন উত্তেজনা বাড়ছিল৷ অনেকের মনে আশঙ্কা জাগছিল, উগ্র দক্ষিণপন্থি প্রার্থী মারিন ল্য পেন তাঁর সমর্থকদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে উৎসাহ দিতে পারলেও মাক্রোঁ-সমর্থকরা হয়তো বিশাল সংখ্যায় ভোট দিতে যাচ্ছেন না৷

কিন্তু স্থানীয় সময় রাত ৮ টার পর যখন ফলাফলের পূর্বাভাষ প্রকাশিত হলো, তখন হাঁফ ছেঁড়ে বাঁচলো গোটা দেশ বা আরও ভালো করে বললে, গোটা ইউরোপ৷ সাম্প্রতিক কালে ফ্রান্সের কোনো নির্বাচন নিয়ে এমন মাত্রায় আগ্রহ সৃষ্টি হয়নি৷ মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলিকে পেছনে ফেলে দুই প্রান্তিক প্রার্থীর মধ্যে কে শেষ পর্যন্ত জয়ী হবেন, তার উপর ফ্রান্স তথা ইউরোপের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছিল৷ বিপুল ব্যবধানে মাক্রোঁর জয়ের ফলে সব উৎকণ্ঠা দূর হলো৷

জয়ের পর ৩৯ বছর বয়স্ক এমানুয়েল মাক্রোঁ ফ্রান্সের সমাজে তীব্র বিভাজনের কথা স্বীকার করে নেন৷ তিনি বলেন, তিনি মানুষের ক্রোধ, উৎকণ্ঠা, সংশয় সম্পর্কে সচেতন৷ তিনি মন দিয়ে সেই কণ্ঠ শুনবেন বলে জানিয়েছেন৷ মাক্রোঁ মনে করেন, ইউরোপের নাগরিক ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ আবার গড়ে তোলাই তাঁর বৃহত্তর দায়িত্ব৷

ফ্রান্সের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবার পর ইউরোপ, তথা গোটা বিশ্ব থেকে অভিনন্দনবার্তা আসতে শুরু করেছে৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার মাক্রোঁর উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি যেভাবে শক্তিশালী ও প্রগতিশীল ইউরোপের ধারণা তুলে ধরেছেন, তাতে তিনি (ইয়ুংকার) খুবই আনন্দিত৷ জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল টেলিফোনে মাক্রোঁকে অভিনন্দন জানান৷ ইউরোপের চালিকাশক্তি হিসেবে ফ্রান্স ও জার্মানির সহযোগিতার বিষয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী৷ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাঁর অভিনন্দনবার্তায় ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার কথা বলেন৷

পুঁজিবাজারেও ফ্রান্সের নির্বাচনের ফলাফলের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ মাক্রোঁর জয়ের ফলে অনেক অনিশ্চয়তা দূর হওয়ায় ইউরো এলাকায় প্রবৃদ্ধির আশা অনেক বেড়ে গেছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য