1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেপালে অকাল ভোট নিয়ে বিক্ষোভ

৩০ ডিসেম্বর ২০২০

নেপালে পার্লামেন্ট ভেঙে নির্বাচনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কাঠমান্ডুতে ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

https://p.dw.com/p/3nLeA
কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ।ছবি: Navesh Chitrakar/REUTERS

নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে মতবিরোধ বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল। তার জেরে প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আবার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের সভাপতি বৈদ্য দেবী ভাণ্ডারী এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুস্প কুমার দাহাল বা প্রচণ্ড এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। পার্লামেন্ট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।

মঙ্গলবার রাজধানী শহরে ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আঞ্চলিক আইনসভার সদস্য লক্ষ্মণ রামসাল বলেছেন, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে যাবেন।

নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি এখন ওলি এবং প্রচণ্ড এই দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ডিসেম্বরের শুরুতে ওলি জানিয়ে দেন, তিনি কাজ করতে পারছেন না। যে সিদ্ধান্তই নিতে যান, তাতেই বাধা আসছে। তাই তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মতো এপ্রিল বা মে মাসে ভোট হওয়ার কথা।

এরপর শুরু হয় সমস্যা। একাধিক গোষ্ঠী নিজেদের আসল কমিউনিস্ট পার্টি দাবি করে দলের প্রতীক দাবি করেছে। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। প্রচণ্ড জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের উপর তাঁর আস্থা আছে। আরো বেশি আস্থা আছে জনতার উপর।

ওলি ও প্রচণ্ডের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি ২০১৭ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। তখন ঠিক ছিল, ওলি আড়াই বছর এবং প্রচণ্ড আড়াই বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কিন্তু ওলি পরে ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকার করেন। ওলির সমালোচকদের অভিযোগ, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়েও ওলি এবং প্রচণ্ডের মধ্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। প্রচণ্ড ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার পক্ষে। কিন্তু ওলি কড়া মনোভাব দেখাতে চান।

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)