1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধুঁকছে নেপাল, ধুঁকছে পর্যটন শিল্প

২৪ এপ্রিল ২০১৬

নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক বছর পূর্ণ হলো৷ এক বছরেও ভূমিকম্পের ধকল কাঠিয়ে উঠতে পারেনি দেশটি৷ পর্যটন শিল্প বিপর্যস্ত৷ পর্যটন কেন্দ্রগুলোর ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের অস্তিত্বই পড়েছে সংকটের মুখে৷

https://p.dw.com/p/1IZgF
নেপাল
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Ram Sarraf

২০১৫ সালের ২৫শে এপ্রিল ভূমিকম্পে এক রকম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল নেপাল৷ এক বছরে সে দেশে স্বাভাবিক জীবন ফিরলেও জীবনধারণ সবার জন্য আগের মতো আর সহজ হয়ে ওঠেনি৷ বিশেষ করে পর্যটন শিল্প এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই পড়েছেন বিপদে৷ ব্যবসা কমেছে প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ৷ হোটেল মালিক থেকে কর্মী পর্যন্ত সবার আয়ই কমেছে আশঙ্কাজনক হারে৷

রাজধানী কাঠমান্ডুর অদূরের নাগরকোট অঞ্চলে গেলেই তা স্পষ্ট বোঝা যায়৷ সেখানে যে হোটেলগুলোর সামনে এ সময়ে ঘুরে বেড়াতো অসংখ্য পর্যটক, এখন ঘুরছে কুকুর৷ পর্যটকদের ফেলে দেয়া খাবার খেয়েই বাঁচে কুকুরগুলো৷ এক বছর আগেও পর্যটক আসতো অনেক৷ কুকুরগুলো পর্যাপ্ত খাবার পেতো৷ এখন পর্যটক কম৷ খাবার আগের মতো পায়না বলে কুকুরগুলোও রোগা হয়ে গেছে৷

একটা মোটামুটি ব্যস্ত হোটেলে আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার রুপি আয় হতো, এখন সেই আয় নেমে এসেছে ৮ থেকে ৯শ' টাকায়৷ অনেকে তাই হোটেল ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার কথাও ভাবছেন৷

বিশাল তামাংও পর্যটক কমে যাওয়ায় নিজের দোকান বন্ধ করে অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কথাও ভাবছেন৷ মারাত্মক ব্যবসা মন্দায় হতাশ হয়ে তিনি বলছিলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে দোকানটা বন্ধ করে এখন কাঠমান্ডু চলে যাওয়া উচিত৷ বড় শহরে গেলে কোনো-না-কোনো কাজ তো পাওয়া যাবে৷ কোনো একটা কাজ পেলে সংসারটা চালাতে পারবো৷''

পোখারায় একটি হোটেলে কাজ করেন শঙ্কর সন্তোষ পোখারেল৷ পর্যটক কমে যাওয়ায় তাঁর হোটেলটিরও খুব খারাপ অবস্থা৷ হতাশা থেকে দেশ ছাড়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন সন্তোষ৷ বলছিলেন, ‘‘এ বছর ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ৷ আমার বেতন এমনিতে খুব কম৷ চলতে হয় বখশিশের টাকায়৷ এখন আর আগের মতো টিপস পাই না৷ অবস্থার উন্নতি না হলে আমি হয়ত মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাবো৷ সেখানে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করবো৷''

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান