নেদারল্যান্ডসে সন্দেহভাজন হামলাকারী ব্যক্তিটি কে?
১৯ মার্চ ২০১৯সোমবার সকালে ঐ ঘটনার প্রায় সাত ঘণ্টা পর পুলিশ তানিসকে আটক করে৷ এরপর আরো দুজনকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়েছে৷
হামলার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তানিসের ছবি প্রকাশ করে তাঁর কাছে যাওয়ার চেষ্টা না করতে শহরের বাসিন্দাদের পরামর্শ দিয়েছিল৷ এছাড়া মসজিদ ও স্কুলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷
কে এই তানিস?
তুরস্কের গণমাধ্যম বলছে, দেশটির ইয়োজগাত শহরে তার জন্ম৷ সেখানে বসবাসরত তানিসের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদলু জানিয়েছে, ‘পারিবারিক বিবাদ'-এর কারণে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে৷
নেদারল্যান্ডসের গণমাধ্যমেও উটরেখটে তানিসের প্রতিবেশীদের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে৷ হামলার কারণ ‘সম্পর্ক'-এর বিরোধের হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা৷
উটরেখটের প্রধান কৌঁসুলি রুটগার ইয়ুকেন এক সংবাদ সম্মেলনে পারিবারিক বিষয়টিও হামলার কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন৷
এদিকে, স্থানীয় পুলিশের কমিশনার রব ফান ব্রি গতরাতে এক টকশো-তে বলেছেন, তানিসের হামলায় নিহতদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের কোনো যোগসূত্র এখনো পাওয়া যায়নি৷
নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা হামলাটি কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে এই কারণ ছাড়াও পারিবারিক বিবাদও একটি কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন৷
এদিকে, নেদারল্যান্ডসের কৌঁসুলি ও পুলিশ মঙ্গলবার বলেছেন, হামলার পর তানিস যে গাড়িতে করে পালিয়ে গিয়েছিলেন সেখানে একটি চিঠিসহ কিছু জিনিস পাওয়া গেছে, যাতে মনে হচ্ছে হামলাটি সন্ত্রাসবাদের অংশ হতে পারে৷
ডিএইচএস নামে তুরস্কের এক বার্তা সংস্থা তানিসের বাবা মেহমেত তানিসের বক্তব্য প্রকাশ করেছে৷ তিনি বলেছেন, তাঁর ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে তিনি তাঁর শাস্তি চান৷ তবে ২০০৮ সালে স্ত্রী-র সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে মেহমেত তানিস তুরস্কে ফিরে যাওয়ার পর ছেলের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ ছিল না বলেও জানান তিনি৷
নেদারল্যান্ডসের পুলিশ জানিয়েছে, তানিসকে তাঁরা চিনত৷ আর এনওএস নামে দেশটির একটি প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, একটি ধর্ষণ মামলায় দুই সপ্তাহ আগেও আদালতে হাজির হয়েছিলেন তানিস৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)