1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেতার কান্না আন্দোলনে ফেরাল কৃষকদের

২৯ জানুয়ারি ২০২১

নেতার চোখের জলই আবার একজোট করে দিল দিল্লির সীমানায় বিক্ষোভরত কৃষকদের। তাঁরা আবার লড়াইয়ের জন্য তৈরি।

https://p.dw.com/p/3oYN0
ট্রাক্টর প্যারেডে বিশৃঙ্খলার পর অনেক কৃষকই আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছিলেন। ছবি: Imtiyaz Khan/AA/picture alliance

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাক্টর প্যারেডে বিশৃঙ্খলা ও লালকেল্লায় গেরুয়া পতাকা তুলে দেয়া, পুলিশকে মারধর করার পর দিল্লির সীমানায় থাকা কৃষক বিক্ষোভে ভাটার টান দেখা গিয়েছিল। প্রচুর পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সীমানায়। দুইটি কৃষক ইউনিয়ন আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সংগঠন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের নেতা দুই টিকায়েত ভাইয়ের মধ্যেও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। নরেশ টিকায়েত আন্দোলন থামাবার পক্ষে। কিন্তু রাকেশ টিকায়েত আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান। এই পরিস্থিতিতে অনেক কৃষক ফিরে গেছিলেন, অনেকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কারণ, উত্তর প্রদেশ সরকার গাজিপুরে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বলা হয়েছে, ২৯ তারিখ মাঝরাতের মধ্যে সকলকে চলে যেতে হবে। না হলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেবে।

এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কেঁদে ফেলেন রাকেশ টিকায়েত। কাঁদতে কঁদতে তিনি বলেন, জীবন যায় যাবে, তিনি গুলি খাবেন। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাবেন না। তিনি আন্দোলনরত সব কৃষককে আবার ফেরার আবেদন জানান। এই কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। আবেগতাড়িত কৃষকরা আবার ফিরতে শুরু করেন। যাঁরা চলে গেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে ফিরে এসেছেন। ফলে আন্দোলন আবার জোরদার হয়েছে। বিক্ষোভস্থলে গেছেন প্রয়াত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং-এর নাতি জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি দুই টিকায়েত ভাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করার অনুরোধ করেছেন।

উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকারও দিল্লির সীমানায় গাজিপুরে কৃষকদের সরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। ডিএম ও এসপি-দের সেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডিএম এসে কৃষক নেতাদের চরমসীমা দিয়ে গিয়েছেন। ২৯ তারিখ রাত বারোটার মধ্যে তাঁদের সরে যেতে হবে। না হলে পুলিশ মেরে তুলে দেবে। জল এবং বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছে। 

দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় সিংঘু ও টিকরিতেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হরিয়ানা পুলিশ বা প্রশাসন এখনো কোনো চরমসীমা দেয়নি। কৃষক নেতারা মহাপঞ্চায়েত ডেকেছেন। সেখানে পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা হবে এবং আন্দোলন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সংসদে উঠবে

কৃষক বিক্ষোভের প্রসঙ্গ সংসদে তোলার জন্য প্রস্তুত বিরোধী দলের সাংসদরা। সংসদের বাজেট অধিবেশন ২৯ তারিখ থেকেই শুরু হয়েছে। বিরোধীরা রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তাঁরা মূল অধিবেশনে যোগ দেবেন। সেখানেই কৃষক বিক্ষোভের প্রসঙ্গ তুলবেন বিরোধী সাংসদরা। কৃষকরা আগে সংসদ ঘেরাও করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁরা সেই কর্মসূচি বাতিল করেছেন। 

সংসদে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই বাজেটে কৃষকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা থাকতে পারে বলে বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে। তাছাড়া বয়স্কদের জন্যেও কিছু ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)