1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

নেতানিয়াহুর জার্মানি ও ব্রিটেন সফর বাতিল করার ডাক

১৫ মার্চ ২০২৩

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জার্মানি সফরের আগে সে দেশের শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা সফর বাতিলের দাবি জানিয়েছেন৷ ইসরায়েলের বিচার বিভাগের বিতর্কিত সংস্কারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে গোটা দেশে জোরালো বিক্ষোভ চলছে৷

https://p.dw.com/p/4Ogpp
ইসরায়েলের সংসদ নেসেটে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের সংসদ নেসেটে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুছবি: Ohad Zwigenberg/AP Photo/picture alliance

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার তিন দিনের জার্মানি সফরে আসছেন৷ আগামী মাসে তার ব্রিটেন সফর করার কথা৷ কিন্তু বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের দোহাই দিয়ে ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের প্রবল বিতর্কিত পদক্ষেপ দেশে-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে বলে নেতানিয়াহুর সফরকে ঘিরে আগেই জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে৷ বিশেষ করে জার্মানির জন্য এমন বিতর্ক অত্যন্ত অস্বস্তিকর৷ জার্মান সরকার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করছে৷ সফরের সময় জোরালো প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার শিল্পী, লেখক ও বুদ্ধিজীবী সে দেশে জার্মান ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জার্মানি ও ব্রিটেন সফর বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন৷ তাঁদের মতে, রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল বর্তমানে কঠিন সংকটের মুখে পড়েছে, যেমনটা ইতিহাসে কখনো ঘটেনি৷ নির্বাচিত সরকার দেশটিকে গণতন্ত্র থেকে ধর্মতান্ত্রিক একনায়কত্বে রূপান্তরিত করতে এক বিপজ্জনক প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন৷ এমন পরিস্থিতিতে জার্মানি ও ব্রিটেন অবিলম্বে নেতানিয়াহুর সফর বাতিল না করলে সেই সফরের উপর কালো ছায়া ছড়িয়ে যাবে বলে চিঠির স্বাক্ষরকারীরা সতর্ক করে দেন৷ তারা মনে করিয়ে দেন, সরকারের বিতর্কিত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি হিসেবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুস, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে এবং মামলা এখনো চলছে৷

ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারের একাধিক নীতি ইউরোপীয় মূল্যবোধের পরিপন্থি বলেও সংস্কৃতি জগতের প্রতিনিধিরা দাবি করছেন৷ তাঁদের মতে, নেতানিয়াহু ইসরায়েলের পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করতে চাইছেন, প্রত্যেক একনায়কতন্ত্রে নাগরিকদের উপর রাষ্ট্রের ক্ষমতা জোর করে চাপিয়ে দিতে যেমনটা করা হয়৷ ফলে নাগরিক অধিকার, মুক্ত চিন্তা ও বাক স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন৷ তাঁদের অভিযোগ ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে যে জায়োনিস্ট চেতনা কাজ করেছে, তা খর্ব করে নেতানিয়াহু মৌলবাদী চিন্তাধারার প্রসার ঘটিয়ে দেশে-বিদেশে সব ইসরায়েলির বিরুদ্ধে সংকীর্ণ অ্যাজেন্ডা কার্যকর করার চেষ্টা করছেন৷ চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মতে, জার্মানি ও ব্রিটেন চিরকাল ইসরায়েলকে ইহুদিদের গণতান্ত্রিক বাসভূমি হিসেবে সমর্থন দিয়ে এসেছে৷ এই মুহূর্তে ইসরায়েলের সেই সমর্থন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন৷

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইস্যাক হ্যারৎসগ নেতানিয়াহু সরকারের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত সংস্কারের পদক্ষেপ বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ তা সত্ত্বেও সোমবার রাতে সংসদে সেই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ অনুমোদিত হয়েছে৷ আরও দুটি অধিবেশনেও অনুমোদন পেলে সেই আইন কার্যকর হবে৷ মঙ্গলবার সকালেও এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ গত প্রায় দশ সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বেড়ে চলেছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)