নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ফিরে দেখা আইএনএ
নেতাজির জাতীয় সেনা প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে ছিল দেশে। পরে ব্রিটিশ সরকার তাদের বিচার করেছিল লালকেল্লায়। ফিরে দেখা সেই ইতিহাস।
লালকেল্লা এবং আজাদ হিন্দ বাহিনী
আগামী রবিবার লালকেল্লায় প্রজাতন্ত্র দিবসের ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। হবে জাতীয় কুচকাওয়াজ। কিন্তু এই লালকেল্লাই এক সময় দেখেছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর অত্যাচার। নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনানীদের বিচার হয়েছিল এখানেই।
আইএনএ এর গোড়ার কথা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বহু ভারতীয়কে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় যুদ্ধ করতে পাঠিয়েছিল ব্রিটিশ সেনা। যাঁদের অনেকেই সেখানে বন্দি হন। পরে সেই ভারতীয়রাই রাসবিহারী বসুর নেতৃত্বে তৈরি করেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। নেতাজি জাপানে পৌঁছনোর পরে আইএনএ জুড়ে যায় নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনীর সঙ্গে।
স্বাধীনতার লড়াই
জার্মানি, ইতালি, জাপান সহ বহু দেশ নেতাজির জাতীয় সেনাকে মান্যতা দিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ সময়েই জাপান আক্রমণ করে ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। তাদের সঙ্গে আজাদ হিন্দ বাহিনীও ঢুকে পড়ে সেখানে।
ইম্ফলে জাতীয় পতাকা
আন্দামান থেকে মিয়ানমার হয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনী পৌঁছে যায় উত্তর পূর্ব ভারতের ইম্ফলে। সেখানেই ওড়ানো হয় ভারতের জাতীয় পতাকা।
ব্রিটিশের হাতে বন্দি
কিছু দিনের মধ্যেই আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাদের গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। তাদের নিয়ে আসা হয় লালকেল্লায়। আটকে রাখা হয় সেলিমগড় দূর্গে।
প্রবল অত্যাচার
ঔরঙ্গজেবের সময় সেলিমগড় দূর্গকে জেলখানায় পরিণত করা হয়ছিল। ব্রিটিশরা সেই জেলে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাদের শুধু আটকে রাখেননি, প্রবল অত্যাচারও চালিয়েছিলেন।
লালকেল্লায় বিচার
১৯৪৩-৪৪ সালেই আটক সেনাদের কোর্ট মার্শাল শুরু হয়। কিন্তু দেশ জুড়ে সেই বিচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। ১৯৪৫ সালে আইএনএ-এর সেনাদের জন্য তৈরি হয় বিশেষ আইনজীবীর দল।
নেতাজির সেনার পাশে জওহরলাল
লালকেল্লায় আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের জন্য আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করেন জওহরলাল নেহরু।
সেলিমগড়ের ভূত
দেশ স্বাধীন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আইএনএ সৈন্যদের জেলখানা সেলিমগড় দূর্গ নিয়ে এখনও ছড়িয়ে আছে বহু ভৌতিক কাহিনি। বলা হয়, চাঁদনি রাতে এখনও অত্যাচারিত সেনাদের আত্মারা ঘুরে বেড়ায় ওই দূর্গে। শোনায় অত্যাচারের কাহিনি। তবে এসব কাহিনি মাত্র।