1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নীল নদে নৌ-ভ্রমণ

১৪ ডিসেম্বর ২০০৯

মিশরের জংসংখ্যার বিশাল একটি অংশ বয়সে নবীন৷ অর্থাৎ তাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে৷ অবসর সময়ে তারা নীল নদের পারে চলে যায়৷ সেখানেই তাদের সময় কাটে আনন্দে৷

https://p.dw.com/p/L1j8
পশ্চিমি দেশের অনেক পর্যটক চোখে পড়বে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/ dpa

তবে আনন্দ-উৎসব করার অর্থ এই নয় যে প্রচুর টাকা-পয়সা খরচ করতে হবে বা মদ্যপান করতে হবে৷ নীল নদের পাড়ে আনন্দ করতে এসবের প্রয়োজন নেই৷ তবে কি প্রয়োজন ?

প্রয়োজন একটি নদি, একটি পাল তোলা নৌকা আর প্রচুর বাতাস৷ মিশরের তরুণ-তরুণীরা রাতে নৌকা নিয়ে চলে যায় নীল নদে৷ এই হচ্ছে একটি৷ আরেকটি বিষয় হল - এই নীল নদের পার ঘেঁষেই রয়েছে অসংখ্য ক্লাব৷ একটি ককটেলের দাম ১০ ইউরো৷ ডিনার করতে চাইলে এক মাসের অর্ধেক বেতন বের হয়ে যাবে এক রাতেই !

খোলুদের বয়স ২০৷ অর্থনীতির বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে৷ তার কাছে সন্ধ্যার সময় কাটানোর উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে নীল নদ৷ তার মতে, যে সব জিনিসের দাম খুব বেশি তার সবটাই পাওয়া যাবে নীল নদের তীরে৷ নীল নদের পারে বাড়ি ভাড়া বেশি, রেস্টুরেন্টে খাওয়া কল্পনাই করা যায় না৷ অফিসগুলো ঝকঝকে - সবকিছু একেবারে অন্যরকম৷

এখানে আজ যারা এসেছে আর্থিকভাবে তারা সবাই স্বচ্ছল নয়৷ অনেকেই পরিবার নিয়ে আসে৷ তারা এসব দামি রেস্টুরেন্টে যেতে পারে না৷ তবে নীল নদের পার ধরে তারা হাঁটতে থাকে৷ নীল নদ এখানকার সবাইকে বেশ প্রভাবিত করে৷ সবার কাছে নীল নদের ভূমিকা অন্যরকম৷

নীল নদের পারে দাঁড়িয়ে শুধু নীলকে দেখা যায় - কিন্তু সেটা যথেষ্ঠ নয়৷ নীল নদের আরো কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করা আছে৷ প্রতি কয়েক মিটার পরপরই রয়েছে নৌকা৷ যে কেউ চাইলে নৌকা ভাড়া নিয়ে আধ ঘন্টা ঘুরে আসতে পারে৷ আধ ঘন্টার ভাড়া মাত্র ৫০ সেন্ট৷

আলীর বয়স ২৭৷ গত ১২ বছর ধরে আলী এ কাজ করছেন৷ তাঁর বাবা এবং দাদারও ছিল নৌকা ভাড়া দেয়ার ব্যবস্থা৷ সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় কাজ৷ চলে অনেক রাত পর্যন্ত৷ অনেকেই রাত তিনটা পর্যন্ত থাকে৷ যাদের বাড়িতে সমস্যা রয়েছে তারা প্রায় সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত নৌকা নিয়ে ঘুরে৷

নীল নদের ওপর প্রায় ৪০ জন মানুষ এসব নৌকায় ভাসছে৷ পশ্চিমি দেশের অনেক পর্যটক চোখে পড়বে৷ অনেকে এসেছে পুরো পরিবার নিয়ে৷ কেউ একা৷ বেশ কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাও চোখে পড়বে৷

নৌকা ভ্রমণের পর অনেকে নীল নদের পাড় ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটে৷ বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সবাই সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হয়৷ কায়রোতে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়৷ তখন সেতুর নিচ দিয়ে, নীল নদের পার দিয়ে হাঁটার কোন তুলনাই হয় না৷ অনেকের হাতে দেখা যায় গরম চা বা কোকের বোতল৷ অনেকেই ব্যস্ত থাকে মাছ ধরায়৷ এভাবেই কেটে যায় নীল নদের মানুষদের সন্ধ্যাগুলো৷

প্রতিবেদক: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক