1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
দুর্নীতিভারত

নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ফেরত দিলেন টলি-অভিনেতা

১৭ মার্চ ২০২৩

ইডি-র কাছে নিয়োগ-দুর্নীতির টাকা ফেরত দিলেন অভিনেতা ববি সেনগুপ্ত এবং পার্লারের মালিক সোমা চক্রবর্তী।

https://p.dw.com/p/4OpAq
ছবি: Satyajit Shaw/DW

নিয়োগ-দুর্নীতির টাকা যে টলিউডে পৌঁছেছিল, পার্লারের-ব্যবসায় গিয়েছিল সেই অভিযোগ আগেই ছিল। ইডি সূত্রের খবর, অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ৪৪ লাখ নিয়েছিলেন। ইডি-র জেরায় সেকথা বনি স্বীকারও করেছিলেন। বুধবার রাতে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে সেই টাকা টলিউডের অভিনেতা ইডি-র কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

বনির বক্তব্য ছিল, তিনি ওই টাকা গাড়ি কেনার জন্য নিয়েছিলেন। পরে তিনি পেশাদার অভিনেতা হিসাবে কুন্তলের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাতেই ওই টাকা পরিশোধ হয়ে গিয়েছিল।  কিন্তু তার কোনো লিখিত নথি ছিল না বলে সূত্র জানিয়েছে।

সেজন্যই টাকা ফেরত দিয়ে বনি নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চেয়েছেন।

নেল পার্লারের মালিক সোমা চক্রবর্তীও একই পথ নিয়েছেন। তিনিও ৫৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে ইডি সূত্র জানিয়েছে।

সোমাও ইডিকে বলেছিলেন, তার কিছু টাকার দরকার হয়েছিল। কুন্তল তখন সেই টাকা দেন।

এসএসসি চেয়ারম্য়ানকে নির্দেশ

আদালতের নির্দেশ মানেননি, তাই স্কুল সার্ভিস কমিশন(এসএসসি)-এর চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে হাজিরা দেয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজকুমার মান্থা।

গত জুনে ৮৩ জন ছাত্রছাত্রীর নম্বর জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু এখনো সেই নম্বর জানায়নি এসএসসি। তাই বিচারপতি মান্থা বলেন, ''এসএসসি কি কোর্টের সঙ্গে খেলা করছে?  তারা নিয়োগ করছে, তারা ভুল করছে। আদালত বলা সত্ত্বেও নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এটা কি পূর্বপরিকল্পিত?  এসেসসি তো একটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।''

সিবিআই-কে ভর্ৎসনা

আনিপুর জেলা আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই-কে ভর্ৎসনা করে বলেছেন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না?

নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় সুব্রত সামন্তকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। কিন্তু তার আইনজীবীর দাবি, এফআইআরে তার নাম নেই। চার্জশিটেও নেই। সিবিআই বলছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তের এজেন্ট হিসাবে তিনি কাজ করতেন।

বিচারক জানান, ''যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকজনকে সিবিআই গ্রেপ্তার করেনি। পলাতক ঘোষণাও করেনি। অনেক লুপ হোলস আছে। ''

কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র অফিস।
কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র অফিস। ছবি: Satyajit Shaw/DW

অনুব্রতর সিএ-র কান্না

গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের সিএ মনীশ কোঠারি আদালত থেকে বেরিয়ে কেঁদে ফেললেন। দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউয়ের কোর্ট থেকে বেরবার সময় তিনি বলেন, ''আমি কিছু করিনি। কোনো অন্য়ায় করিনি। আমার একমাত্র ভুল সিএ হওয়া।''

সিবিআইয়ের অভিযোগ, মনীশের মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করতেন অনুব্রত। তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করা হয়েছে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, টিভি৯, নিউজ১৮বাংলা)