1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাসিত সৌদিদের নতুন রাজনৈতিক দল

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিদেশে নির্বাসনে থাকা সৌদি আরবের বিক্ষুব্ধ নেতারা রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। অন্যদিকে সৌদির রাজা জাতিসংঘে ভাষণে জানিয়েছেন, তাঁরা ইরানের বিরুদ্ধাচরণ করে যাবেন।

https://p.dw.com/p/3ivEP
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nabil

তাঁরা কেউ আছেন যুক্তরাজ্যে, কেউ অ্যামেরিকা, ক্যানাডা বা অন্য কোনো দেশে। সকলেই সৌদি আরবথেকে নির্বাসিত। তাঁরা সকলে মিলে একটা রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত সৌদি মানবাধিকার কর্মী ইয়াহিয়া আসিরি জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য সৌদি আরবে গণতন্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

এই নতুন দলের নাম রাখা হয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পার্টি। দলের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবে সরকার সহিংসতা ও দমননীতি নিয়ে চলেছে। রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অযথা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাঁদের মেরে ফেলাও হচ্ছে।

আসিরি হলেন বিমান বাহিনীর সাবেক অফিসার। তিনি বলেছেন, খুব সংকটজনক সময়ে এই দল গঠন করা হলো। দলের মুখপাত্র ও যুক্তরাজ্যের শিক্ষাকর্মী এম আল-রশিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন রাজ-পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনো শত্রুতার সম্পর্ক নেই। কিন্তু সরকারি দমন সমানে বাড়ছে। তাই এটাই দল গঠনের পক্ষে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই নতুন রাজনৈতিক দল সৌদির শাসকদের সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। কারণ, এখন অশোধিত তেল বিক্রি করে আয় অনেকটাই কমেছে। করোনার কারণে আগের চাহিদা নেই বলে এই অবস্থা। তার ওপর তাঁরা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনও আয়োজন করছেন। নভেম্বরে এই সম্মেলন হবে। তাছাড়া ভাবী রাজা ও বর্তমানে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমনকে নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে।

অভিযোগ, তিনি তাঁর বিরোধীদের নানা কারণ দেখিয়ে গ্রেফতার করেছেন। ২০১৮তে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাতে তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সৌদি আধিকারিকরা অবশ্য যুবরাজের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর সংস্কার কর্মসূচি নিয়েও সৌদিতে বিতর্ক হচ্ছে।

এই অবস্থায় ৮৪ বছর বয়সী রাজা সালমন জাতিসংঘে ভিডিও-ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি ইরানের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ইরান সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে শান্তিভঙ্গ করছে।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)