1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের আগে নেপালে সংসদ বিলুপ্ত 

২৩ ডিসেম্বর ২০২০

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির অনুরোধে রোববার সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি৷ ২০০৮ সালে প্রজাতন্ত্র হওয়ার পর নেপালে এটিই প্রথম সংসদ বিলুপ্তির ঘটনা৷

https://p.dw.com/p/3n9MT
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির অনুরোধে রোববার সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি৷ ২০০৮ সালে প্রজাতন্ত্র হওয়ার পর নেপালে এটিই প্রথম সংসদ বিলুপ্তির ঘটনা৷
ছবি: Navesh Chitrakar/REUTERS

২০১৭ সালের নির্বাচনে ২৭৫ আসনের মধ্যে অলির ‘কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (একত্রিত মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)’ দল সর্বোচ্চ ৮০ আসনে জিতেছিল৷ পরে সাবেক মাওবাদী নেতা ও ‘কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী)’ দলের নেতা পুষ্প কুমার দাহালের সমর্থন নিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হন কেপি শর্মা অলি৷ এর তিন মাস পর মে মাসে দুই দল একত্রিত হয়ে ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’ বা এনসিপি গঠিত হয়৷

তবে গত কয়েক মাসে এনসিপির অধিকাংশ নেতার সমর্থন হারান অলি৷ নেতাদের অভিযোগ, তাদের উপেক্ষা করে বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এসব অভিযোগে অলিকে পদত্যাগের আহ্বানও জানান তারা৷ এমনকি তার বিরুদ্ধে সংসদে নো-কনফিডেন্স ভোট আনারও উদ্যোগ শুরু হয়৷ এই খবর পেয়েই অলি সংসদ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন বলে তার দলের কয়েক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানিয়েছেন৷

তবে দেশকে একটি ‘অকার্যকর অবস্থা’ থেকে বের করে আনতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সোমবার জানান অলি৷ এরপর তার মন্ত্রিসভার পরামর্শে আগামী ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে নতুন নির্বাচনের তারিখ প্রস্তাব করেন প্রেসিডেন্ট ভান্ডারি৷ ফলে নির্দিষ্ট সময়ের এক বছরেরও বেশি সময় আগে নেপালে নির্বাচন হতে যাচ্ছে৷

এদিকে, অলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সাতজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন৷ সংবিধান বিষয়ক আইনজীবীরা বলছেন, অলির সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হতে পারে৷ মঙ্গলবার তাকে এনসিপির কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷

অলির সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আদালতে বেশ কয়েকটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে৷ আইনজীবী দিনেশ ত্রিপাঠি একটি পিটিশন দায়ের করেছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘সংবিধান মতে, সংসদ বিলুপ্ত করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই৷’’ এটা একটা সাংবিধানিক অভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, হিন্দুস্থান টাইমস)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য