নির্বাচনের আগে নেপালে সংসদ বিলুপ্ত
২৩ ডিসেম্বর ২০২০২০১৭ সালের নির্বাচনে ২৭৫ আসনের মধ্যে অলির ‘কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (একত্রিত মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)’ দল সর্বোচ্চ ৮০ আসনে জিতেছিল৷ পরে সাবেক মাওবাদী নেতা ও ‘কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী)’ দলের নেতা পুষ্প কুমার দাহালের সমর্থন নিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হন কেপি শর্মা অলি৷ এর তিন মাস পর মে মাসে দুই দল একত্রিত হয়ে ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’ বা এনসিপি গঠিত হয়৷
তবে গত কয়েক মাসে এনসিপির অধিকাংশ নেতার সমর্থন হারান অলি৷ নেতাদের অভিযোগ, তাদের উপেক্ষা করে বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এসব অভিযোগে অলিকে পদত্যাগের আহ্বানও জানান তারা৷ এমনকি তার বিরুদ্ধে সংসদে নো-কনফিডেন্স ভোট আনারও উদ্যোগ শুরু হয়৷ এই খবর পেয়েই অলি সংসদ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন বলে তার দলের কয়েক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানিয়েছেন৷
তবে দেশকে একটি ‘অকার্যকর অবস্থা’ থেকে বের করে আনতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সোমবার জানান অলি৷ এরপর তার মন্ত্রিসভার পরামর্শে আগামী ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে নতুন নির্বাচনের তারিখ প্রস্তাব করেন প্রেসিডেন্ট ভান্ডারি৷ ফলে নির্দিষ্ট সময়ের এক বছরেরও বেশি সময় আগে নেপালে নির্বাচন হতে যাচ্ছে৷
এদিকে, অলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সাতজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন৷ সংবিধান বিষয়ক আইনজীবীরা বলছেন, অলির সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হতে পারে৷ মঙ্গলবার তাকে এনসিপির কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷
অলির সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আদালতে বেশ কয়েকটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে৷ আইনজীবী দিনেশ ত্রিপাঠি একটি পিটিশন দায়ের করেছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘সংবিধান মতে, সংসদ বিলুপ্ত করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই৷’’ এটা একটা সাংবিধানিক অভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, হিন্দুস্থান টাইমস)