1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনে সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

৩ জানুয়ারি ২০১৯

নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে যে সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা উচিত বলে মনে করে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ৷

https://p.dw.com/p/3Ay15
ছবি: Getty Images/AFP/J. Macdougall

বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থার এশিয়া ডাইরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডামস জানান, ‘‘নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো হয়েছে, তাদের ভয় দেখানো হয়েছে, বিরোধীদের প্রচারণার সময় হামলা করা হয়েছে, আর বাকস্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণে আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘ব্যালট ভরা, ভোটারদের ভয় দেখানো, নির্বাচনের দিন শাসক দলের ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়া বিষয়ক খবরের অর্থ হচ্ছে সহিংসতার মাত্রা নির্ধারণে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা উচিত৷''

এইচআরডাব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে কয়েক হাজার বিরোধী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ আর গ্রেপ্তার ও সহিংসতার শিকার হওয়ার ভয়ে সাংবাদিকরা সেন্সর করে তাঁদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন৷

অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করার পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করেছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়৷ এক্ষেত্রে খুলনা-১ আসনে ভোটার সংখ্যার চেয়ে ভোট বেশি পড়ার খবর প্রকাশ করায় ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রবাহের সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি উল্লেখ করেছে এইচআরডাব্লিউ৷

এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা ভোটারদের ভয় দেখানোর ঘটনার ভিডিও মুছে ফেলতে সাংবাদিকদের বাধ্য করা হয়েছে৷ মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক কাফি কামাল হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানান, ভোটারদের উপর হামলার খবর ধারণ করার কারণে তাঁকে পেটানো হয়েছে৷ ‘‘আমি যখন ফুটেজ ধারণ করছিলাম, তখন সাংবাদিকে উপস্থিতি টের পেয়ে তারা আমার উপর হামলা চালায় এবং আমার সারা শরীরে আঘাত করে,'' বলেন তিনি৷ ‘‘আমার বাঁ চোখে চারটি সেলাই লেগেছে আর পিঠে অসহনীয় ব্যথা আছে,'' এইচআরডাব্লিউকে জানান সাংবাদিক কামাল৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া ডাইরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক দাতা, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের বন্ধুদের মনে রাখা উচিত যে, নির্বাচন হচ্ছে ভোটারদের অধিকার, যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের নয়৷ দারুণভাবে বিভক্ত একটি দেশে যখন একটি দল মোট আসনের ৯৬ শতাংশ আসনে জয় পায়, তখন তাৎক্ষণিকভাবেই প্রশ্ন তোলা উচিত৷''

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন

বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হওয়ায় তার নিন্দা জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স আরএসএফ৷ এই সময় সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার, তাঁদের উপর হামলা চালানো ও একটি টিভি চ্যানেলের প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বলে জানায় সংস্থাটি৷

নির্বাচনের পর সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি উল্লেখ করে আরএসএফ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে৷ একই অভিযোগ হেদায়েৎ হোসেন ছাড়াও মানবজমিন পত্রিকার রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এই অভিযোগ প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছেন আরএসএফ-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডেস্কের প্রধান ডানিয়েল বাস্টার্ড৷ ‘‘তাঁদের একমাত্র অপরাধ ছিল তাঁরা নির্বাচন প্রত্যক্ষ করছিল, যেমনটা একটি কার্যকর গণতন্ত্রে যে কোনো সাংবাদিকই করবে৷ নির্বাচনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বারবার লঙ্ঘিত হওয়ায় ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে,'' বলেন তিনি৷

নির্বাচনের দিন প্রখ্যাত ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলমসহ কয়েকজন সাংবাদিক শারীরিক হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানায় আরএসএফ৷

এছাড়া অ্যাক্রিডিটেশন থাকার পরও ডেইলি স্টার পত্রিকার অন্তত সাতজন সাংবাদিককে পুলিশ কিংবা শাসক জোটের কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেননি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স৷

জেডএইচ/এসিবি (এইচআরডাব্লিউ, আরএসএফ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য