নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থাকছেন যাঁরা
৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে শুরু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ৷ ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা৷ এক নজরে দেখে নিন, কারা থাকছেন নিরাপত্তা রক্ষায়৷
৭ লাখ সদস্য
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৭ লাখের বেশি সদস্য দেশজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে৷ এর মধ্যে পুলিশ সদস্য থাকছেন এক লাখ ৪৫ হাজার৷ এছাড়া ১০ হাজার র্যাব সদস্য, ৪ লাখ ৭০ হাজার আনসার সদস্য এবং ৪০ হাজার গ্রাম পুলিশ- ভিডিপিও মোতায়েন থাকছেন৷
স্ট্রাইকিং ফোর্স
এরই মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সামরিক বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি এবং কোস্ট গার্ডের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে৷ তাঁরা প্রিজাইডিং অফিসারের প্রয়োজনে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন৷ কোথাও সহিংসতার ঘটনা ঘটলে পুলিশের সহায়তায় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সে এলাকায় মোতায়েন হবেন৷
ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট
তাৎক্ষণিক শাস্তি দেয়ার জন্য দেশের সব কেন্দ্রগুলো ভাগ করে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৬ শত ৯৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে৷ তাঁরা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তি দিতে পারবেন৷ কোথাও নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নির্দিষ্ট সাজাও দিতে পারবেন৷
কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন সশস্ত্র পুলিশ ও একজন সশস্ত্র আনসারসহ মোট ১৪ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন৷ তবে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সশস্ত্র সদস্য থাকবেন ৪ জন৷ সারা দেশের ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৫ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷
মেট্রোপলিটন এলাকা
মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে অন্য সব এলাকার চেয়ে একটু বেশি নিরাপত্তা থাকবে৷ প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ জন সদস্যের মধ্যে সশস্ত্র থাকবেন ৫ জন৷ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তায় ১৮ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকবেন৷ তার মধ্যে ৭ জন থাকবেন সশস্ত্র৷
গুজব বন্ধে বিশেষ সেল
নির্বাচনে কীভাবে কাজ করতে হবে, তা নিয়ে র্যাব সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷ নির্বাচনের সময়ে সারা দেশে ১০ হাজার র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে৷ এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে উসকানি দিতে না পারে, সেজন্য স্থাপন করা হয়েছে সাইবার নিউজ সার্টিফিকেশন সেন্টার৷
সশস্ত্রবাহিনী
রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য অভিযান পরিচালনা করবে সশস্ত্রবাহিনী৷ ৩৮৯টি উপজেলায় সেনাবাহিনী, উপকূলীয় ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনী এবং সীমান্তবর্তী ৮৭ উপজেলায় বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে৷ বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান নির্বাচনে সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত থাকবে৷