নির্বাচন নিয়ে বিশিষ্ট জনদের মত
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার
অন্যান্যবারের চেয়ে এবার নির্বাচনের পরিবেশ ছিলো খুবই সুশৃংখল৷ নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগ্রহের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে৷ ভোট দিতে যাওয়ার সময় দেখেছি সুশৃংখলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প রাস্তায় ছিলো, তাদের মধ্যে কোন উত্তেজনা ছিলো না৷ লোকজন দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিয়েছে, তাদের মধ্যে কোন বিরক্তি ছিলো না৷ বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে আগ্রহ বেশি দেখেছি৷ যাদের লাইন খুবই দীর্ঘ ছিলো, যেটা খুবই ভালো লেগেছে৷ আমার মনে হয় মানুষ এবার বুঝতে পেরেছে গণতন্ত্রের মাধ্যমেই এই দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব এবং গণতন্ত্রের মাধ্যমেই বিরাজমান সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব৷
প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী
নতুন সরকারে যেই আসুক না কেন আমরা আশা করছি মুক্তিযুদ্ধের সরকারই ক্ষমতায় আসবে৷ তাদের কাছে প্রথমেই যে জিনিসটা চাইবো তা হলো, দেশের মানুষ যাতে শান্তিতে স্বস্তিতে বাস করতে পারে তার জন্য একটা ব্যবস্থা যেন করতে পারে৷ সেজন্য যেটা প্রয়োজন তা হলো প্রথমেই দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা৷ আরেকটি প্রধান যে কাজ সেটা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার৷ এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করার কারণে আজকে দেশে নানা রকমের যন্ত্রণা, জটিলতা, অস্থিরতা এবং অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে, সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে৷ এটা যদি করা সম্ভব হয় তাহলে আমরা আশা করি রাজনীতিবিদরা যে শান্তি এবং স্বস্তির বাংলাদেশ গড়তে চাইছেন এবং দিন বদলের যে আহ্বান জানিয়েছেন সেটা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে৷
ঢাকার প্রকাশনা জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তি মফিদুল হক
অনেক রকম রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর একটা নির্বাচন হলো৷ এটা খুবই বড় ঐতিহাসিক ঘটনা এ কারণে যে, এগিয়ে আসার দরজা খুলে গেলো এবং এর সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধারাবাহিকতার মধ্যে নিয়ে গেলো৷ একটা প্রতিষ্ঠার মধ্যে নিয়ে গেলো৷ আমার মনে হয়, এই গণতন্ত্রকে আর বাধাগ্রস্ত করা বা ধারাবাহিকতাকে বিঘ্নিত করা সম্ভব হবে না বলে একটা রায় এর মাধ্যমে এসেছে৷