1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ নভেম্বর ২০১২

বাংলাদেশে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক দলগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতা ততই বাড়ছে৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই তৎপরতা আগামী নির্বাচন এবং নির্বাচন পদ্ধতির ওপর প্রভাব ফেলবে৷

https://p.dw.com/p/16hBP
ছবি: DW/Swapan

রাজনৈতিক দলগুলোর অবশ্য দাবি, নির্বাচন নিয়ে তারা কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন না৷ শুধুমাত্র নিজেদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করছেন৷ তবে এ বিষয়ে মতান্তর রয়েছে৷

মহাজোট সরকারের প্রধান শরীক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভারত সফর দিয়ে শুরু৷ তারপর গেলেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র চেয়ার পাসর্ন বেগম খালেদা জিয়া৷ এরশাদ এখন জোট ছেড়ে এককভাবে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতির কথা বলছেন৷ আর বিএনপি'র চেয়ারপার্সন ভারত সফরের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে৷ যদিও তারা সুনির্দিষ্ট করে সময় বলতে পারেছেন না৷ আর সরকারের তো কূটনৈতিক তৎপরতা আছেই৷

Bildcombo Sheikh Hasina und Khaleda Zia
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)ছবি: AP/DW

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এসব তৎপরতা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, শেষ পর্যন্ত আর একপাক্ষিক নির্বাচন হচ্ছে না৷ নির্বাচন হবে সব দলকে নিয়েই৷

রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য বিদ্বেষের কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশিরা কথা বলার সুযোগ পায়৷ আমাদের ব্যর্থতাই তাদের সুযোগ করে দেয়৷ তিনি বলেন, এই সময়ে বিরোধী দলের নেতাদের ভারত সফর অবশ্যই রাজনৈতিক৷ তাই খালেদা জিয়ার ভারত সফর অবশ্যই সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখেই হয়েছে৷

তবে বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, তাদের কূটনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই৷ আগামী নির্বাচন পদ্ধতি কি হবে তার জন্য শেষ পর্যন্ত সংসদেই যেতে হবে৷

সব মিলিয়ে এখন যে নির্বাচনী কূটনীতি চলছে, তার ফলাফল আরো স্পষ্ট হবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে – মনে করেন বিশ্লষকরা৷