‘নির্বাচন চুরি করার চাইতেও জঘন্য হয়েছে': কাদের সিদ্দিকী
৯ জুলাই ২০১৯ডয়চে ভেলে বাংলা'র প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীনের সঙ্গে আলোচনায় বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বলেন, আগে কখনো এমন জালিয়াতি হয়নি৷
‘‘এর আগেও আমরা নির্বাচন করেছি৷ পাকিস্তান আমলেও নির্বাচন করেছি৷ ৩০শে ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয়নি,'' বলেন বঙ্গবীর৷ তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘চোরের চুরি করার চাইতেও জঘন্য হয়েছে৷ দেশের শতকরা ৯০ জন মানুষ মনে করে কাজটি ঠিক হয়নি৷''
নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের ঠিকমত প্রচারণা করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ আনেন কাদের সিদ্দিকী৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোটার নয়, কর্মী নয়, অনেক প্রার্থীকে নির্বাচনের সময় গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এটা নির্বাচন বিধিমালায় পড়ে না৷''
ঐক্যফ্রন্টের কোনো কার্যকারিতা নেই উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী তাদের ‘দ্বিচারিতা'র সমালোচনা করেন৷ সংসদকে ‘অবৈধ' উল্লেখ করে এতে যোগ দেয়ায় বিএনপি'র সমালোচনা করেন তিনি৷ ‘‘বিএনপির পাঁচজন যোগ দিয়েছেন৷ মানুষ এটি ভালোভাবে নেয়নি,'' বলেন তিনি৷ যোগ করেন, ‘‘কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এই দ্বিচারিতার সঙ্গে থাকতে পারছে না৷''
নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন, এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেননি কাদের সিদ্দিকী৷ তবে এমন কিছু হলে তাতে বড় দুই দলেরই পরাজয় দেখছেন৷
‘‘কামাল হোসেন কী করেছেন তা তিনিই জানেন,'' বলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রধান৷ ‘‘বিএনপি কি এতটাই নাবালক, কামাল হোসেন এইভাবে সরকার একটা প্ল্যানের ওপরে ভিত্তি করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন, বিএনপির মতো একটা দল এরকম একটা প্রহসন করতে যাবে?''
তিনি যোগ করেন, ‘‘আর যদি সরকারের ফাঁদে পড়ে তারা গিয়ে থাকেন, এতে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে৷ সত্যিকারের ভোটার দিয়ে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ আর কখনো জিতবে না৷''
জনগণ থেকে দূরে গিয়ে শক্তি প্রয়োগ করে নয়, তাদের আস্থায় রেখে রাজনীতি করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতা কখনো চিরস্থায়ী হয় না৷''
জেডএ/কেএম