1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন এবং জার্মানির সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিবর্তন

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

জার্মানিতে নির্বাচন শেষ৷ এখন সরকার গঠনের অপেক্ষা৷ তার আগে যে বিষয়গুলো আলোচনায় রয়েছে তার একটি হলো সংস্কৃতি৷ নির্বাচন কি জার্মানির সাংস্কৃতিক নীতিমালায় কোনো পরিবর্তনের সূচনা করবে?

https://p.dw.com/p/40zUh
BTW 2021 Themenbilder
ছবি: Simon Becker/Le Pictorium/imago images

অন্য সব কিছুর মতো সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সার্বিক বিষয়েও কী বা কেমন পরিবর্তন আসতে পারে তা নির্ভর করে কোন কোন দলের জোট সরকার ক্ষমতায় আসে, তার ওপর৷ তবে নির্বাচনি প্রচারণার সময় প্রায় সব দলই সরকার গঠন করলে সংস্কৃতি এবং শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে৷

লুট করা সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোর ভবিষ্যৎ

নাৎসি সরকার এবং উপনিবেশিক শাসনের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা শিল্প নিদর্শনের বিষয়ে নতুন সরকারের সিদ্ধান্ত কী হবে এটা একটা বড় প্রশ্ন৷ বার্লিনে হুমবোল্ড্ট ফোরামে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে৷ তাছাড়া ২০১২ সালে মিউনিখের এক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ শিল্পকর্ম উদ্ধারের পর থেকেই লুট করে আনা শিল্পকর্ম উৎসদেশে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি বিভিন্ন পর্যায় থেকে উঠছে৷ নাৎসি আমলের শিল্পকর্ম বিক্রেতা হিল্ডারান গুলরিটের সন্তানের সেই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা শিল্পকর্মগুলোর দাম এক বিলিয়ন ইউরোর চেয়েও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

কিন্তু সরকার যেই দলগুলোর জোটই গঠন করুক না কেন লুট করা সম্পদের ভবিষ্যৎ আগামী চার বছরে নির্ধারিত হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷ সিডিইউ/সিএসইউ বলে রেখেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে আরো তথ্যানুসন্ধান প্রয়োজন বলে মনে করে৷ গ্রিন পার্টি এবং বাম দল শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের পক্ষে৷ এছাড়া নাৎসি এবং উপনিবেশিক আমলে নিয়ে আসা শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে দুটি দলের সমর্থন খুবই স্পষ্ট৷ তবে ফিরিয়ে দেয়া কবে থেকে, কিভাবে শুরু হবে সে বিষয়ে দল দুটোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷

বিদেশে জার্মানির সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি

যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশে জার্মানির সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, তাদের মধ্যে ডয়চে ভেলে, গ্যোটে ই্ন্সটিটিউট, বিভিন্ন জার্মান স্কুল এবং জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস (ডিএএডি) অন্যতম৷ নির্বাচনের আগে সিডিইউ আর সিএসইউ জানিয়েছে, সরকার গঠন করলে তারা গ্যোটে, ডিএএডি এবং বিভিন্ন জার্মান স্কুলের কাজে আরো উৎসাহ জোগাবে৷ কিন্তু কীভাবে তা করবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি৷ এফডিপি জানিয়ে রেখেছে, ক্ষমতায় এলে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট সব জার্মান প্রতিষ্ঠানের বাজেট বাড়াবে৷ গ্রিন পার্টি বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্রুত ডিজিটাইশনেও জোর দেয়ার কথা বলেছে৷

সংস্কৃতিতে ব্যয় বাড়ানোর সক্ষমতা

সাম্প্রতিক সময়ে এই খাতে ব্যয় অনেক বাড়িয়েছে জার্মান সরকার৷ ম্যার্কেলে সরকারের সংস্কৃতি এবং মিডিয়া বিষয়ক কমিশনের বাজেট ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো  ২.৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়৷ এর সঙ্গে করোনায় বিপর্যস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সহায়তায় খরচ করা হয় এক বিলিয়ন ডলার৷ নতুন সরকার এ খাতে ব্যয় আরো বাড়ায় কিনা তা-ই এখন দেখার বিষয়৷

স্টেফান ডেগে, বেটিনা বাউমান/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য