1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন ট্রাম্প'

৬ জুন ২০১৯

মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থীদের ঢল বন্ধ করতে সে দেশের উপর শাস্তিমূলক শুল্কের হুমকি দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ কিন্তু এর ফলে আখেরে মার্কিন অর্থনীতির ক্ষতি হবে বলে সতর্ক করে দিচ্ছে তাঁরই দল৷

https://p.dw.com/p/3JwNc
Donald Trump
ছবি: Reuters/C. Barria

সমালোচকদের মতে বিতর্ক ছাড়া বেশিদিন স্বস্তিতে থাকতে পারেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ বিশেষ করে তাঁর ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির আওতায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক বিভ্রাটের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে সংঘাত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কাও বাড়ছে৷ এরই মধ্যে তিনি আচমকা প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর উপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করে দেশে-বিদেশে জোরালো বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন৷

অ্যামেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে বেআইনি অনুপ্রবেশের বিষয়টি ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে এ ক্ষেত্রে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে প্রেসিডেন্টের তর্জন গর্জনের মিল পাওয়া কঠিন৷ তবে মে মাসে আচমকা আটক শরণার্থীদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেছে৷ সীমান্ত বরাবর প্রাচীর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পালন করতে তিনি এমনকি নিজের রিপাব্লিকান দলের সঙ্গেও সংঘাতে যেতে প্রস্তুত৷

এবার মার্কিন সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে মেক্সিকোর সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে চান ট্রাম্প৷ বাড়তি শুল্ক চাপানোর হুমকিকে হাতিয়ার করে তিনি এই পথে এগোতে চান৷ প্রথমে পাঁচ শতাংশ, তারপর ধাপে ধাপে শুল্কের হার ১০, ১৫, ২০, ২৫ শতাংশ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ বুধবার এক টুইট বার্তায় তিনি এ বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতির অভাবের উল্লেখ করেছেন৷ তাঁর সাফ বক্তব্য, আলোচনা বিফল হলে ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে মেক্সিকো থেকে আমদানির উপর পাঁচ  শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে৷

বলা বাহুল্য, এমন হুমকির মুখে মেক্সিকোর সরকার শাস্তিমূলক শুল্ক এড়াতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতির চেষ্টা চালাচ্ছে৷ একাধিক রেটিং এজেন্সি মেক্সিকোর অবস্থান কমিয়ে দিচ্ছে৷ মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড সীমান্ত পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করেছেন৷ তিনি দীর্ঘমেয়াদে এই সমস্যার সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেন৷ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের বাইরে অন্যান্য উদ্যোগও জরুরি বলে তিনি মনে করেন৷ তবে মার্কিন প্রশাসনের চাপে মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্ত বন্ধ করা এবং বহিরাগত শরণার্থীদের মেক্সিকোয় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের সুযোগ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এব্রার্ড সংশয় প্রকাশ করেছেন৷

মেক্সিকোর সঙ্গে এমন সংঘাতের পরিণাম মার্কিন অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন অ্যামেরিকার দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ এই প্রথম রিপাব্লিকান দল সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প-এর কোনো নীতির বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নিচ্ছে৷

রিপাব্লিকান দলের অনেক সংসদ সদস্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যে বহু মার্কিন কোম্পানি মেক্সিকোর পণ্য ও যন্ত্রাংশের উপর নির্ভরশীল৷ সে দেশ থেকে আমদানির উপর শুল্ক চাপালে আখেরে মার্কিন অর্থনীতির ক্ষতি হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন৷ এভাবে নিজের পায়ে কুড়ুল মেরেও ট্রাম্প-কে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে হবে কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে৷

এসবি/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য